বৃহস্পতিবার হাতিরপুল কাঁচাবাজারে সিটি করপোরেশনের বাজার মনিটরিং টিমের সঙ্গে বাজার পরিদর্শনে এসে একথা বললেন তিনি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। এক কেজি মাংস কিনতে ৫৫০ টাকা বা তার চেয়ে বেশি লাগছে, যেখানে এক মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়।
গরুর মাংসের বাড়তি দাম রাখার প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে রোজায় প্রতি কেজি মাংসের দাম ৫২৫ টাকা বেঁধে মেয়র সাঈদ খোকন। তবে ঢাকার অধিকাংশ বাজারে ব্যবসায়ীরা ওই দাম মানছেন না।
মেয়র বলেন, “আমরা মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেছিলাম। তারা আমাদের বলেছেন, গাবতলী পশুর হাটে চাঁদাবাজির কারণে তারা ক্রেতাদের কাঙ্ক্ষিত মূল্যে মাংস দিতে পারছেন না। যে কারণে গরুর মাংসের দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি।
“এ বিষয়টি মাংস ব্যবসায়ীরা আমাদের বলেছেন। আমরা ডিএমপিকে বিষয়টি জানিয়েছি। চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে হয়তবা সাশ্রয়ী মূল্যে দেশি গরুর মাংস সরবরাহ করতে পারবে বিক্রেতারা।”
এবার রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ‘মোটামুটিভাবে’ সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সাঈদ খোকন।
গতবছরের তুলনায় এবার চিনি ও সয়াবিন তেলের দাম ‘বেশ কম’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাজারে সিটি করপোরেশনের দ্রব্যমূল্যের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিক্রেতারা তা ‘মানছেন না’ বলে স্বীকার করেন সাঈদ খোকন।
এবার তাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকাভুক্ত বাজারগুলোতে মূল্যতালিকা প্রদর্শনে ডিজিটাল বোর্ড বসানো হবে বলে জানান মেয়র।
আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই এসব ডিজিটাল বোর্ড স্থাপন করা যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
ঢাকা মহানগরের ২১০টি বাজারে ‘সীমিত সংখ্যক’ জনবল নিয়ে বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান দক্ষিণের মেয়র।
তিনি বলেন, “অস্বীকার করা যাবে না, আমাদের যত জনবল প্রয়োজন তত জনবল আমাদের নেই। তবুও এই সীমিত জনবল দিয়ে আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।”
তিনি বলেন, “জনগণ দুর্ভোগে পড়ে এমন কাজ কখনও করবেন না। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রমাণ পেলে শুধু জরিমানায় সীমাবদ্ধ থাকবে না, বাজার আইন অনুযায়ী কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধানও থাকছে।
“সুতরাং বিক্রেতাদের বলছি যে, এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে ঈদের দিনটি আপনাদের কারাগারে কাঁটাতে হয়।”
নিউ মার্কেটে ফলে ‘নেই’ ফরমালিন
সকালে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায় বিএসটিআইয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক মনতোষ জানান, এ অভিযানে নয়টি ফলের দোকানে ফলে ফরমালিন পরীক্ষা করা হয়। তবে এসব ফলে ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।