বৃহস্পতিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আসন্ন রমজানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ বিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি একথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। রমজানে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে ভেজালবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে, এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রমজানে পচা, বাসি ও ভেজাল খাবার রোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে।”
খাদ্যশস্যের সন্তোষজনক মজুদ রয়েছে জানিয়ে সাধন চন্দ্র বলেন, “মাসিক চাহিদা ও বিতরণ পরিকল্পনার তুলনায় পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে, কোনো ঘাটতি নেই।”
বর্তমানে সরকারি গুদামে ১৩ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে চাল ১০ লাখ ৬৭ হাজার টন এবং এক লাখ ৭৩ লাখ মেট্রিক টন গম।
রোজা এলেই খাবারে ভেজালবিরোধী অভিযান শুরু হয় বাংলাদেশে
“নিরাপদ খাদ্য ও ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকার পাশাপাশি খাদ্য স্থাপনাগুলোতে মনিটরিং জোরদারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকদের খাদ্য স্থাপনা ও বাজার পরিদর্শন জোরদার করতে প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “জেলা-উপজেলায় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বয কমিটির মাধ্যমে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা ছাড়াও কাঁচা বাজার, ইফতার বাজার, খাদ্য স্থাপনা, হোটেল রেস্তোরাঁ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খাদ্যের নিরাপত্তা রক্ষায় পরিদর্শন দল গঠনের মাধ্যমে তদারকি করা হবে।”
খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।