স্টিল ও রি-রোলিং শিল্পে বাড়তি কর নয়

আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজাটে রড ও স্টিলপণ্যের বিদ্যমান কারহার অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে এই খাতের তিনটি সংগঠন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2019, 02:43 PM
Updated : 24 April 2019, 02:43 PM

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ট্যারিফ বহাল রাখার পাশাপাশি উৎসে কর কর্তন রহিত করার দাবিও জানান ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশেন ও বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ শহিদউল্লাহ বলেন, রডসহ স্টিলপণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর পরিশোধের জন্য বর্তমানে ট্যারিফ প্রথা চালু আছে। এতে উৎপাদনকারী ও সরকার কারও পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। ভবিষ্যতের বাজেটেও যেন এই পদ্ধতি বহাল থাকে।

বর্তমান ট্যারিফে যেখানে ভ্যাট বাবদ প্রতি টনে ৯০০ টাকা দিতে হচ্ছে সেখানে নতুন ভ্যাট পদ্ধতি আরোপ করলে রডের দাম প্রতি টনে ৯ হাজার টাকা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।  

রডের কাচামাল ফেরাস ওয়েস্ট, স্ক্র্যাপ ও স্পঞ্জ আয়রণ আমদানিতে বর্তমান শূন্য ভ্যাট বহাল রাখা এবং বিদেশি রড আমদানিতে শূল্ক বাধা আরোপ করার আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

রড খাতে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর অনুরোধ জানান ব্যবসায়ীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রড উৎপাদন ব্যয়ের মধ্যে জ্বালানি বাবদ খরচ হয় ১৫ শতাংশ। অথচ নতুন করে গ্যাসের মূল্য ১৩২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হলে প্রতি টন রডের উৎপাদন ব্যয় চার হাজার টাকা বেড়ে যাবে।

২০০৮ সালে বার্ষিক রড উৎপাদনের পরিমাণ ছিল  ১৬ লাখ টন। এখন বছরে ৫৫ লাখ টন রড উৎপাদন হয়। এই শিল্পে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য সংযোজন হচ্ছে।