বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ দেখছে ইনভেস্টকর্প

ইনভেস্টকর্প নামের একটি বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশে রিয়েল স্টেট, ভোগ্যপণ্য উৎপাদন এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2019, 01:35 PM
Updated : 10 April 2019, 01:35 PM

বুধবার ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আগ্রহের কথা জানান কোম্পানিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মোহাম্মেদ মাহফুদ আলার্ধি। কোম্পানির কো চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হাজেম বিন গাসেমও উপস্থিত ছিলেন।

আলার্ধি বলেন, “আমরা বাৎসরিক এশিয়ার রোডশো কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছি।

“আমরা বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখার জন্য এসেছি। এদেশে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা এবং বিনিয়োগের পরিবেশও আছে বলে আমার মনে হয়েছে।”

১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইনভেস্টকর্প আবাসনে বিনিয়োগের পাশাপাশি বিনিয়োগের পরামর্শক হিসেবে কাজ করে আসছে। নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, বাহরাইন, দোহা, আবু ধাবি, রিয়াদ ও সিঙ্গাপুরে রয়েছে তাদের অফিস।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরে অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজমেন্টের (এইউএম) আওতায় ইনভেস্টকর্পের ২ হাজার ২৫০ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।

আলার্ধি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও সরকারের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের কাছ থেকে বিনিয়োগ পরিস্থিতি জেনেছি।

“তারা আমাদের সাথে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার এক উৎসাহব্যঞ্জক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। সরকারি কর্মকর্তারা আমাদের প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন।”

বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করতে যাচ্ছেন বহুজাতিক এই কোম্পানির শীর্ষকর্তা আলার্ধি।

তিনি বলেন, “গত ৫ বছরে বাংলাদেশ ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। আর এই প্রবৃদ্ধি বিভিন্ন খাতের জন্য খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার দুয়ার। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ খুব ভালো বলে আমার মনে হয়েছে।”

আলার্ধি বলেন, তাদের কোম্পানি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর গড়ে ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে থাকে।

“সম্প্রতি আমরা চীন এবং ভারতে বিনিয়োগ করেছি। এরমধ্যে চীনে ২০ কোটি ডলার এবং ভারতে দেড় কোটি ডলারের বিনিয়োগ করেছি।”

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর চুড়ান্ত বিনিয়োগে যেতে ভারত ও চীনে আমাদের ১২ থেকে ২৪ মাস সময় লেগেছে। বাংলাদেশেও আমাদের বিনিয়োগের চুড়ান্ত সিদ্ধন্ত হয়ে গেলে একই রকম সময় লাগতে পারে।”

আলার্ধি বলেন, প্রাইভেট ইক্যুইটি, রিয়েল এস্টেট, অ্যাবসুলিউট রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট, ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মতো পাঁচ ধরনের ব্যবসা রয়েছে তাদের।