পহেলা বৈশাখে রাজধানীসহ পাঁচ জেলায় আল্পনা উৎসব

পহেলা বৈশাখে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ৩ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে আল্পনা উৎসবের আয়োজন করেছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ও এশিয়াটিক ইএক্সপি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 April 2019, 04:35 PM
Updated : 8 April 2019, 04:35 PM

সপ্তমবারের মতো আয়োজিত এ উৎসবে ‘বার্জার আলপনায় বৈশাখ ১৪২৬: ঐতিহ্যের চেতনায় প্রাণের উৎসব’ শিরোনামে ঢাকার সঙ্গে সঙ্গে রাঙানো হবে চট্টগ্রাম, বগুড়া, সিলেট ও খুলনা জেলা শহরগুলোও।  

সোমবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এশিয়াটিক এক্সপেরিএন্সিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড (ইএক্সপি) ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়।

পহেলা বৈশাখে  বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রাচীন অনুষঙ্গ আলপনা চিত্রের ঐতিহ্যকে বড় পরিসরে তুলে ধরতে এই আল্পনা উৎসবের আয়োজন বলে জানায় আয়োজক এশিয়াটিক ইএক্সপি।

আয়োজকরা জানান, ঢাকায় মানিক মিয়া এভিনিউ ছাড়াও অপর জেলা শহরগুলোতে প্রতিটি আল্পনা আঁকা হবে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,  “ঢাকাসহ পাঁচটি শহরেই ১৩ এপ্রিল রাত ১১টায় একযোগে আলপনা আঁকার কার্যক্রম শুরু হবে। চলবে ১৪ এপ্রিল ভোর পর্যন্ত।”

চিত্রশিল্পী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও শেখ মনিরুজ্জামান লিটন আলপনা আঁকার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

বাংলা নববর্ষ উদযাপনে আয়োজিত এই উৎসবটি সকলের জন্যে উন্মুক্ত থাকবে।

রাজধানীতে মূল অনুষ্ঠান ‘আলপনায় বৈশাখ’ উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর।

বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের মার্কেটিং বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার এ কে এম সাদেক নেওয়াজ বলেন, “নববর্ষে দেশকে রাঙিয়ে ঐতিহ্যের এ ধারাকে তরুণদের মাঝে পুনরুজ্জীবিত রাখার প্রয়াসে কাজ করে যেতে চায় বার্জার। আমরা বিশ্বাস করি এ ধরনের আয়োজন সমাজের গ্লানি ও জরা মুছে দিয়ে আমাদের জীবনে রঙের ছটা নিয়ে আসে।”

এশিয়াটিক ইএক্সপির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরেশ যাকের বলেন, “এ উদ্যোগ নেওয়ার পেছনে অন্তর্নিহিত চিন্তা ছিলো আমাদের সংস্কৃতির বৈচিত্র্যকে তুলে ধরা যা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐক্যতানের মূল বিষয়। এ বছর উৎসবের স্মারককে বিভিন্ন রঙের বৈচিত্র্যতায় চিত্রিত করা হয়েছে।

“লোগোটি একটি কাগজের চরকি যা আমাদের উৎসবময়তার পরিচায়ক এবং একইসাথে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানরত ঐক্যতান ও সমৃদ্ধির প্রতীক।”

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্পী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির ভাইস চেয়ারপারসন সারা যাকের।

সারা যাকের বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতিতে আলপনা একটি অবিচ্ছেদ্য লোকশিল্প।  উৎসবের রঙিন দিকটি তুলে ধরতে ও শিল্পী সত্তার স্বতঃস্ফূর্ততা প্রকাশে আলপনা অনন্য এক শিল্পমাধ্যম।” 

আলপনা একটি প্রাচীন ঐতিহ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন,  “বহু প্রাচীন কাল থেকেই বাঙালি রমণীরা বিভিন্ন উৎসবে ও পালাপার্বণে গৃহসজ্জায় আলপনা এঁকে এসেছেন।  যদিও বর্তমানে এর প্রচলন তেমন একটা দেখা যায় না।

“তাই পহেলা বৈশাখকে উপলক্ষ করে আমাদের শিল্পসংস্কৃতির প্রাচীনতম এই অনুষঙ্গটিকে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে আমরা আবারও দেশবাসীকে একীভূত করতে চাই।”