বিজিএমইএ ভোটে পূর্ণ প্যানেলে জয়ের আশা রুবানার

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষ সমঝোতার মাধ্যমে প্যানেল দিলেও স্বাধীনতা পরিষদের আবির্ভাবে ভোট এড়ানো গেল না পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতৃত্ব পেতে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2019, 05:37 PM
Updated : 5 April 2019, 07:11 PM

কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনের নুরুল কাদের অডিটোরিয়ামে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।

এবারের নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিত-ফোরাম নামের প্যানেল দিয়েছে। মোহাম্মদী গ্রুপের এমডি রুবানা হক এই প্যানেলের মূল নেতা হিসাবে আছেন।

নির্বাচনে তাদের পুরো প্যানেল জয়ী হবে বলে আশা করছেন রুবানা, যার স্বামী প্রয়াত আনিসুল হকও ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন।

এই নির্বাচনে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাধীনতা পরিষদ নামের আরেকটি প্যানেল, যার নেতৃত্বে আছেন ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এমডি জাহাঙ্গীর আলম।

এর আগে ২০১৫ সালে বিজিএমইএর নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে সম্মিলিত পরিষদের সিদ্দিকুর রহমানকে সভাপতি করে একটি পরিচালনা পর্ষদ ঠিক করে।

সমঝোতার অংশ হিসাবে পরবর্তী মেয়াদে ফোরাম থেকে একজনকে সভাপতি করে নতুন পর্ষদ গঠনের কথা ছিল। বিভিন্ন কারণে সিদ্দিকুরের পর্ষদের মেয়াদ তিন ধাপে দেড় বছর বাড়ানো হয়। এবারের নির্বাচনে ফোরাম আর সম্মিলিত পরিষদ আবারও সমঝোতা করে ফোরাম থেকে রুবানা হককে সভাপতি হিসাবে ঠিক করে।

সমঝোতার প্যানেল সম্মিলিত-ফোরাম-এর প্যানেল নেতা রুবানা হক শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্বাচনের পরিবেশ খুবই ভালো। আমরাও বেশ আশাবাদী। নির্বাচনে আমরা পূর্ণ প্যানেলে জয় পাব বলে আশা রাখি।”

অপরদিকে স্বাধীনতা পরিষদের প্যানেল নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মতে, নির্বাচনে জয় পরাজয়ের ভার ভোটারদের হাতে।

তিনি শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্বাচনের পরিবেশ ভালোই দেখা যাচ্ছে। কাল ভোটাররা যাদেরকে নেতা হিসাবে পছন্দ করবেন তাদেরকেই ভোট দেবেন। ভোটাররা চাইলেই কেবল আমরা জয়ী হব।”

এবারে নির্বাচনে মোট ৩৫টি পরিচালক পদের জন্য দুই প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৪ জন। মোট ভোটার হচ্ছে ১ হাজার ৯৫৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ১ হাজার ৫৯৭ জন। বাকি ৩৫৮ জন চট্টগ্রামের।

সম্মিলিত-ফোরামের প্যানেল পরিচিতি

মোহাম্মদী গ্রুপের রুবানা হক, সেহা ডিজাইনের এসএম মান্নান কচি, সুরমা গার্মেন্টসের ফয়সাল সামাদ, মাসুদ অ্যাপারেলসের মোহাম্মদ নাছির, কাইলক নিউএইজ বাংলাদেশের আসিফ ইব্রাহীম, তুসুকা ফ্যাশনসের আরশাদ জামাল দিপু, দুলাল ব্রাদার্সের এমএ রহিম ফিরোজ, গোল্ডেন রেফিট গার্মেন্টসের কেএম রফিকুল ইসলাম, অ্যাডাম অ্যাপারেলসের মো. শহীদুল হক মুকুল, ফেম সুয়েটারসের মশিউল আজম সজল, অনন্ত গার্মেন্টসের ইনামুল হক খান বাবলু, টিভোলি অ্যাপারেলসের মাসুদ কাদের মনা, ওডেসা ফ্যাশনসের ইকবাল হামিদ কোরাইশী আদনান, সামা ফ্যাশন ওয়্যারের নাছির উদ্দিন, দিগন্ত সুয়েটার্সের কামাল উদ্দিন, ভিজেন্ট ডেনিম স্টুডিওর মো. সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, সফটেক্স সুয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজের রেজওয়ান সেলিম, নিও ফ্যাশনসের মুনির হোসেন, গার্মেন্টস এক্সপার্ট ভিলেজের একেএম বদিউল আলম, মিসারি গার্মেন্টসের মিরান আলী, ফ্যাশন নিট গার্মেন্টসের মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, সিভিক অ্যাপারেলসের মোশাররফ হোসেন ঢালী, এমিটি ডিজাইনের শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, ডেনিম এক্সপার্টের মহিউদ্দিন রুবেল, অনন্ত ডেনিম টেকনোলজির শরীফ জহির ও জিসাস ফ্যাশনের নজরুল ইসলাম।

স্বাধীনতা পরিষদের প্যালেন পরিচিতি

স্বাধীনতা পরিষদ থেকে পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী ১৮ জন হলেন- ডেনিম প্রসেসিং প্লান্টের জাহাঙ্গীর আলম, ডিলাক্স অ্যাপারেলসের দেলোয়ার হোসেন, অলিরা ফ্যাশনসের হুমায়ুন রশিদ জনি, এলুরিং ফ্যাশনসের সাইফুল ইসলাম, নর্দার্ন করপোরেশনের রফিক হাসান, সাউথ ওয়েস্ট কম্পোজিটের হোসেন সাব্বির মাহমুদ, লিবাস স্টিচের শওকত হোসেন, হানজালা টেক্সটাইলসের খন্দকার ফরিদুল আকবর, ভ্যান হ্যাপেন ফ্যাশনের জাহাঙ্গীর কবির, জেইন অ্যাপারেলের জাহিদ হাসান, অ্যাপারেল বাংলা সোর্সিংয়ের শরিফুল আলম চৌধুরী, এ এস গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইলের কাজী আবদুস সোবহান, টপ টেক্স সোয়েটারের জহিরুল ইসলাম, জেড এ অ্যাপারেলসের কাজী মাহয্যাবিন মমতাজ, ডিকে গ্লোবাল ফ্যাশনওয়্যারের মাহমুদ হোসেন, ওয়েলমার্ট অ্যাপারেলসের আয়েশা আক্তার, পিয়াংকা ফ্যাশনের ওয়ালীউল্লাহ এবং গোল্ডেন ডাক অ্যাপারেলের ওমর নাজিম হেকমত।