মাছ-মুরগির দাম বাড়তি, সবজির কমছে

দীর্ঘদিন চড়া দামে বিক্রি হতে থাকা বর্ষা মওসুমের আগাম সবজির দাম কমে এসেছে। তবে আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও মাছ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2019, 01:55 PM
Updated : 22 March 2019, 01:55 PM

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙা, পটল, ঢেঁড়শ ও বরবটি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। সপ্তাহ দুয়েক আগে পটল ও ঢেঁড়শ ছাড়া অধিকাংশ সবজিই প্রতিকেজি ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়।

তবে এদিন রাজধানীর মিরপুর বড়বাগ কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়।

এই বাজারের সবজি বিক্রেতা নুরুল আমিনের মতে, বর্ষা মওসুমের আগাম সবজির দাম দুই সপ্তাহে আগে আরও বেশি ছিল। সেই তুলনায় এখন কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে।

কারওয়ানবাজারে কেনাকাটা করতে আসা গ্রিন রোডের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলছেন, “বাজারে কোনো পণ্যের দামই এখন অস্বাভাবিক নেই। সব কিছুর দাম ঠিকই আছে। বাজার সব সময় এক রকম থাকে না। তবে কোনো নিত্যপণ্যের দামই খুব বেশি নেই। বরং পেঁয়াজ, আলুসহ কয়েকটি পণ্যের বেশ কম।”

গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখের পর থেকেই প্রতিকেজি ১১০ টাকা থেকে বাড়তে শুরু করে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত দুই সপ্তাহ ধরেই এই মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৬০ টাকা থেকে ১৬৫ টাকায়।

একইভাবে গত দুই মাস ধরে হাঁস, দেশি মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বাড়তি রয়েছে। কারওয়ানবাজার ও বড়বাগে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১০৫ টাকা থেকে ১১০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৫০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিলের হিসাব মতে, প্রতিটি ডিম উৎপাদনে খরচ পড়ে অন্তত সাড়ে ৬ টাকা। সেই হিসাবে ৮ টাকা থেকে ৯ টাকায় ডিম বিক্রি হওয়ার কথা।

কিন্তু বিভিন্ন কারণে উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনের সভাপতি মশিউর রহমান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেক সময়ে সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কারণে ডিমের দাম বেড়ে যায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনা খামারিরা বর্তমানে ডিম ও মুরগির ভালো দাম পাচ্ছেন।”

খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ও আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতিকেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮৫ টাকায়।

কারওয়ানবাজারে এক রসুন বিক্রেতা জানান, গত সপ্তাহে রসুনের দাম বেড়ে গিয়ে প্রতিকেজি ১০০ টাকা হয়েছিল। এই সপ্তাহে দাম কিছুটা কমেছে।

চলতি সপ্তাহে মাছের বাজারে রুই-কাতলের দাম কিছুটা বাড়তি দেখা গেছে। বড়বাগে এক কেজির চেয়ে একটু ছোট রুই বিক্রি হয় ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়, যা সাধারণত ২২০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়ে থাকে। কাতল মাছও বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৩০০ টাকা থেকে সাড়ে ৩০০ টাকায়।

এছাড়া শিং মাছ কেজি প্রতি ৫০০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, মাঝারি আকারের চিংড়ি ৪০০ টাকা, এক কেজির চেয়েও কিছুটা ছোট ইলিশের জোড়া ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে বড়বাগে।