বিমানবন্দর থেকে দোকান সরাতে বলায় ক্ষোভ

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ ভবনের বহির্গমন লাউঞ্জের কয়েকটি দোকান সরিয়ে নিতে বলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই ব্যবসায়ীরা।

গোলাম মুজতবা ধ্রুব নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2019, 06:54 PM
Updated : 15 March 2019, 06:57 PM

তারা বলছেন, লাখ লাখ টাকা জমা দিয়ে দোকান ইজারা নিয়েছেন। এখন বিনা নোটিশে দোকান সরিয়ে চলে যেতে বলায় বিপদে পড়েছেন তারা। 

ওই লাউঞ্জের খাবার দোকান ফেয়ার টেস্ট-এর ম্যানেজিং পার্টনার জাকির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সিভিল এভিয়েশন থেকে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা মেনে বিমানবন্দরে দোকান ইজারা নিয়ে পরিচালনা করি। কিন্তু গতকাল বিমান সচিব মহিবুল হক এসে শনিবারের মধ্যে আমাদের দোকান বন্ধ করে চলে যেতে বলেন।

“তিনি আমাদের কোনো নোটিশও দেননি। কিন্তু প্রিমিয়াম সুইটস ও এ্যারোস নামের দুটো দোকান রহস্যজনকভাবে রাখা হচ্ছে।”

ওই লাউঞ্জ থেকে অন্তত পাঁচটি দোকান বন্ধ করে চলে যেতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

সেখানকার দোকান হাওলাদার অ্যান্ড সন্সের মালিক আওরঙ্গজেব হাওদালার বলেন, “২০১৬ সালে সিভিল এভিয়েশন থেকে ৪০ লাখ টাকা পাব বলে আদালত আমাকে দোকান করার অনুমতি দেয়। এরপর ২০১৭, ২০১৮ সাল থেকে দোকান পরিচালনা করছি। 

“এখন বিনা নোটিশে কেউ দোকান বন্ধ করতে বললে আবারও আদালতে যাব।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির পরিচালক (এটিএস অ্যান্ড এরোড্রামস) নুরুল ইসলাম বলেন, “ব্যবসায়ীদের সরে যাওয়ার বিষয়ে আমরা এখনো অফিসিয়াল কোনো চিঠি দেইনি। শুনেছি বিমান সচিব স্যার তাদের মৌখিকভাবে দোকান ছেড়ে দেবার কথা বলেছেন।” 

বিমান সচিব মহিবুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইজারার শর্তে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ চাইলে ব্যবসায়ীদের সাথে ইজারা চুক্তি বাতিল করা যাবে। আমরা সেটা মেনেই তাদের সাথে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করব।    

“যাত্রীদের অসুবিধা বিবেচনায় নিয়ে কিছু দোকান সরানো হবে। পুরনো দুটো দোকান রাখা হবে।”