জনশক্তি রপ্তানি বিষয়ে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে সফররত জাপানের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় প্রতিমন্ত্রী এই আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ পরিশ্রমী ও প্রতিশ্রুতিশীল। বাংলাদেশের জনশক্তিকে ব্যবহার করে জাপান তার শ্রমঘাটতি পূরণ করতে পারে। জাপানের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী প্রেরণে বাংলাদেশ প্রস্তুত।”
জাপানের প্রতিনিধি দলে ছিলেন এমএলএস করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ওইকাওয়া ইউসুকি, মিয়ানমার ডাউই কালচার ইকোনমি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসুয়ো মেগা, গকুবান করপোরেটিভের পরিচালক তেতসুফুমি ফুজিসাওয়া।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশিক্ষণ) মো. শহীদুল আলম ও উপসচিব কাজী আবেদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ক্রমাগত কর্মক্ষম তরুণদের সংখ্যা কমে আসায় সম্প্রতি বিদেশি কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাপান সরকার।
কিন্তু আগামী পাঁচ বছরে তিন লাখের বেশি কর্মী নিয়োগের জন্য দেশটির পার্লামেন্টে যে বিল পাস করা হয়, সেখানে আটটি দেশ থেকে জনশক্তি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই।
ভিয়েতনাম, চীন, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড ও পূর্ব এশিয়ার অন্য একটি দেশ থেকে কর্মী নিতে চায় জাপান।
বৈঠকে প্রতিনিধি দল জানায়, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। এ বন্ধুত্ব এক দিনের নয়, এটা অটুট রাখতে হবে।
জাপানের দলটি বাংলাদেশে কয়েকটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের কথা জানিয়ে সেগুলোর সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানা বৈঠকে।