নিবন্ধনহীন ব্যাটারিচালিত বাহনে রাজস্ব ক্ষতি ‘২০ কোটি টাকা’

সড়কে থাকা বিদ্যুৎ ও ব্যাটারিচালিত যানবাহনগুলো নিবন্ধন ও নীতিমালার আওতায় না আসায় সরকার বছরে অন্তত ২০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে উঠে এসেছে এক আলোচনায়।  

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2019, 12:09 PM
Updated : 13 March 2019, 12:09 PM

এ ধরনের যানবাহনের জ্বালানির জন্য আলাদা চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যাটারি রিসাইক্লিংয়ের ব্যবস্থা রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী।

তিনি বলেছেন, “বিদ্যুৎচালিত যানবাহন খাতের বিকাশ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক নীতিমালা দরকার। বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনকে নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনাতে হবে।”

জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অরগানাইজেশন (জেট্রো) ও বিজনেস ইনিশিয়েটিভ  লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) বুধবার ঢাকার হোটেল আমারিতে যৌথভাবে এই আলোচনার আয়োজন করে।

‘ডায়লগ অন প্রসপেক্টস অ্যান্ড পলিসি অফ ইলেকট্রিক ভেহিকলস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনায় জানানো হয়, ইলেকট্রিক স্কুটার, ইলেকট্রিক বাইক, ইজিবাইকসহ দুই ও তিন চাকার প্রায় ১০ লাখ যানবাহন আছে বাংলাদেশে, যেগুলোতে বিদ্যুত বা ব্যাটারিতে চলে।

এসব যানবাহন চালিয়ে ১০ লাখের বেশি মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। এসব যানবাহন নিবন্ধনের আওতায় না আসায় সরকার বছরে প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে উঠে এসেছে জেট্রোর গবেষণায়।

অপ্রতুল বিদ্যুত নিয়ে চলা বাংলাদেশে বিদ্যুৎচালিত যানবাহন ব্যবহারের অনুমতি না থাকলেও সারাদেশেই তা চলছে। এর মধ্যে ইজিবাইক নামে পরিচিতি পাওয়া যানগুলোকে মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্যও দায়ী করা হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনগুলোকে একটি নিয়মের মধ্যে এনে বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে গত বছরের শেষ দিকে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে পাঠায় বিআরটিএ। গত ৬ জানুয়ারি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে এ বিষয়ে একটি পর্যালোচনা সভাও হয়।

বিআরটিএ বলছে, পৃথিবীর সব দেশেই এখন ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাপারে আগ্রহ বাড়ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশেও কয়েকটি ইলেকট্রিক কার এসেছে। গাড়ি যেহেতু আসা শুরু হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই এসব যানবাহনকে নীতিমালার মধ্যে আনা প্রয়োজন।

অন্যদের মধ্যে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেনন্টের (বিল্ড) সাবেক চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, অ্যাডিশনাল রিসার্চ ফেলো তাহমীদ জামী এবং জেট্রোর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ দাইসুক আরাই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।