প্রবাসী বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের প্রথম সম্মেলনের শেষ দিনের একটি আয়োজনে তিনি বলেন, “এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো।
“প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের নিয়েও এই ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করা আবশ্যক।”
প্রকৌশলী সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘ইন্ট্রেপ্রেনিওরশিপ ইন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সালমান রহমান।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশিত দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে প্রবাসী ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা, প্রকৌশলীদের পাশাপাশি অন্যান্য পেশাজীবীদেরও এর সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।”
‘চিপ ডিজাইন, উৎপাদন ও ব্যবহার’ প্রতিপাদ্যের এই সেমিনারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা।
“এর সুবিধা এবং অসুবিধা দুটিই রয়েছে। আমাদেরকে প্রযুক্তির উৎকর্ষতার মাধ্যমে এর সুবিধাসমূহ কাজে লাগাতে হবে এবং এর ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করে নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
“সর্বোপরি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যথার্থ প্রয়োগকে স্বাগত জানাতে হবে, কিন্তু এর ব্যপক প্রয়োগের আগে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।”
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রায় ৩০০ প্রবাসী প্রকৌশলীর অংশগ্রহেন উন্নত দেশে কাজ করা প্রবাসী প্রকৌশলীদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে এই সম্মেলন মঙ্গলবার শুরু হয়।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের ৩০টি দেশে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি প্রকৌশলী সম্মেলনে অংশ নেন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।