ঢাক পশ্চিমাঞ্চল কাস্টমস, একসাইজ ও ভ্যাট কমিশনার কার্যালয়ের দুইটি দল গত রোববার প্রতিষ্ঠান দুটির কাগজপত্র নিরীক্ষা করে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করে।
এর মধ্যে সানজি স্টিল গত তিন বছরে এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং প্রতীক সিরামিকস পাঁচ বছরে ১৩ লাখ টাকা ফাঁকি দিয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে ভ্যাট কর্তৃপক্ষ।
তিনি জানান, কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সানজি স্টিল পাইপ তৈরির কাঁচামাল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস দিয়ে আমদানি করলেও তা ভ্যাটের ক্রয় রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। এতে প্রকৃত উৎপাদন গোপন করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের সিএ ফার্মের রিপোর্ট পর্যালোচনায় দেখা যায়, কোম্পানির নিজস্ব নানা ধরনের খরচের উপর প্রযোজ্য ভ্যাট উৎসে কর্তন করা হয়নি।
“এই দুই উপায়ে ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক কোটি ৫৯ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে,” বলেন মইনুল।
ভ্যাটের সহকারী কমিশনার জুয়েলা খানমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল সানজি স্টিলের কাগজপত্র নিরীক্ষা করে।
অন্যদিকে রাজস্ব কর্মকর্তা হারুনর রশিদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আরেকটি দল প্রতীক সিরামিকসের ২০১২-১৩ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সিএ ফার্মের প্রতিবেদন পরীক্ষা করে।
এতে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের উৎসে ভ্যাট কর্তন বাধ্যতামূলক হলেও তা করা হয়নি। এতে ১৩ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে।
পরে প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয় বলে জানান মইনুল খান।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সানজি স্টিল ও প্রতীক সিরামিকসের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।