পাকুন্দিয়া উপজেলায় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের দুই পাশে ৯১ দশমিক ৬৩ একর জমির উপর স্থাপিত এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি দেশের নবম বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল, যা চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে উৎপাদনের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
সোমবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নতুন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুসাব্বির আহমাদ ও নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারপার্সন সেলিমা আহমাদের হাতে সনদ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেসরকারি খাতের আটটি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বেজা। এর বাইরে ১৯টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে প্রাথমিক লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
নতুন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে ইতোমধ্যে ভারতের টাকা মটরসের সঙ্গে যৌথভাবে মোটরযান নির্মাণের কারখানা স্থাপনের কাজে হাত দিয়েছে বাংলাদেশি নিটল-নিলয় গ্রুপ। ভারতের আরেকটি স্টিল প্রস্তুতকারী কোম্পানি এখানে বিনিয়োগের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এখানে ইলেকট্রিক গাড়ি, এগ্রো বেইজড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে জানায় কিশোরগঞ্জ ইকনোমিক জোন কর্তৃপক্ষ।
সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এখানে পাঁচ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান ও ২০ হাজার মানুষের পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করছে তারা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কাজের গতি ও শিল্প-কারখানার প্রযুক্তিগুলো সেভাবে বেছে নিতে হবে।”
নতুন এই ইকোনমিক জোনে চার চাকার গাড়ি নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ বলেন, এই অর্থনৈতিক অঞ্চল শুধু কর্মসংস্থান নয়, নতুন উদ্যোক্তাও তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য এক ফসলি জমি বেছে নিয়েছে নিটল–নিলয় গ্রুপ।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স পেতে অনেক সময় ছয় মাসেরও বেশি সময় লেগে যায়। নিটল-নিলয় গ্রুপের একটি ট্রেড লাইসেন্স পেতে ছয় মাস লেগেছে। এখন থেকে বেজা নিজেই ট্রেড লাইসেন্স দেবে। যাতে করে ব্যবসায়ীদেরকে সরকারি অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে না হয়।