বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাষ্ট্রদূত এই আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, “ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। জাপান ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
“বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এতে জাপান খুশি। জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াবে। বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশ বেশ ভাল, জাপান বাংলাদেশে অনেক গাড়ি রপ্তানি করে।”
একাত্তরে স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে জাপানের সহযোগিতার বিষয়টি স্মরণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, জাপানি সাহায্য সংস্থা এখনও বাংলাদেশে কাজ করছে। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের।
“দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। জাপান নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার উপজেলা এবং চট্টগ্রামের মীরেরসরাইয়ে দুটি স্পেশাল ইকনোমিক জোনে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এজন্য জাপানের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”
বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের পরিমাণ গত এক দশক ধরেই ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০০৮ সালে যেখানে ৭০টি জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে ছিল, ২০১৭ সালে তা আড়াইশ ছাড়িয়ে যায়।
জাপানি কোম্পানিগুলো ২০১৭ সালে বাংলাদেশে ১ হাজার ১৩০ কোটি জাপানি ইয়েন বিনিয়োগ করেছে, যা প্রায় ৮৪০ কোটি টাকার সমান।