মঙ্গলবার নগর ভবনের ‘ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও কেমিক্যাল পল্লীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, রাসায়নিক কারখানার ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের আগে একটি কমিটির মাধ্যমে যাচাই করা হবে। এফবিসিসিআই, পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ কমিটি করে দেওয়া হবে।
“কমিটি সরেজমিনে যাচাই বাচাই করবে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ২০টি রাসায়নিক যাদের কাছে পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যাদের কারখানায় নিষিদ্ধ কেমিক্যাল থাকবে না, কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী তাদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা হবে।”
মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায় না। কিন্তু মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা দিতে হবে সবার আগে।
“বিষয়টির তদারকি করা সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে সম্ভব না। এজন্য সব সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। কেমিক্যাল কারখানায় ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে চাই। তবে যেসব কারখানা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোকে আমরা নবায়ন করতে চাই না।”
২০১০ সালের ৩ জুন রাতে পুরান ঢাকার নিমতলীতে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগে ১২৫ জনের মৃত্যু হয়।
এরপর ঢাকা মহানগরী থেকে দাহ্য রাসায়নিক দ্রব্যের দোকান ও গুদাম কেরানীগঞ্জ বা কামরাঙ্গীরচর এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সিটি করপোরেশেনের উদ্যোগে পুরান ঢাকার রাসায়নিক কারখানা ও গুদামগুলোতে বিভিন্ন সময়ে অভিযানও চালানো হয়।
মেয়র খোকন বলেন, “কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান, গোডাউন বা বাসায় জানমালের হুমকি হতে পারে এমন দাহ্য পদার্থ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ব্যবস্থা নেবেন।”
অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন।