এলপিজি সুলভ করার চেষ্টা হচ্ছে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার আবাসিক গ্রাহকদের জন্য আরও কম দামে এলপিজি দেওয়ার চেষ্টা করছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2019, 09:34 AM
Updated : 11 Feb 2019, 09:35 AM

রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জেএমআই গ্রুপের এলপিজি প্রকল্পে ৩৮০ কোটি টাকার সিন্ডিকেট ঋণের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নসরুল হামিদ।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক বড় এই অর্থের যোগান দিচ্ছে। এর মধ্যে দেড়শ কোটি টাকা দিচ্ছে অগ্রণী ব্যাংক।

ভবিষ্যতে এলপিজির বড় বাজার সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “সরকার বাসাবাড়িতে আর আবাসিক গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেনা। বাসাবাড়ির ব্যবহারের জন্য এলপিজিকে আরও সুলভ কিভাবে করা যায় সেই চিন্তা করছে। সুলভ ও মানসম্মত জ্বালানির দিকে জোর দিচ্ছে।

আবাসিকে নতুন সংযোগ না দেওয়ার যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, “বাসায় দুই বার্নারের একটি চুলায় মাসে যে পরিমাণ গ্যাস খরচ হয় তা শিল্পখাতে দুইশ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারে।”

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা পরিকল্পিতভাবে শিল্প এলাকায় বিনিয়োগ করুন। তাহলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে সুবিধা হবে। ব্যাংকগুলোও যেন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পরিকল্পিত শিল্প এলাকায় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে।”

জ্বালানি খাতের এই প্রকল্পের জন্য জেএমআই গ্রুপকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেএমআই নব্বইয়ের দশক থেকেই ব্যবসা ও বিনিয়োগে উদ্ভাবনী চিন্তার পরিচয় দিচ্ছে। সেই সময় সবাই যখন গার্মেন্টস শিল্পের দিকে ঝুঁকছে তখন জেএমআই জাপানি বিনিয়োগ এনে হাসপাতাল ইক্যুইপমেন্ট উৎপাদন শুরু করে। এখন সঠিক সময়ে তারা এলপিজি খাতে বিনিয়োগ করছে।

জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “২০০০ সালে জাপানের ১০ বছরের প্রবাস জীবন ছেড়ে এসে মাত্র ৩১২ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছি। কয়েকটি ব্যাংকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সেই ব্যবসা আজ এতো বড়। এখন জাপানের বিনিয়োগ আছে ৭০০ কোটি টাকা। যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের বিনিয়োগ আছে। ছয় হাজার কর্মী কাজ করছে জেএমআই গ্রুপে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।”

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত বলেন, জেএমআইয়ের এলপিজি প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগ আছে। বিদেশে রপ্তানিরও সম্ভাবনা আছে। এসব কিছু দেখে তাদের জন্য বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। টাকার অঙ্ক বড় হওয়ায় ঝুঁকি লাঘব করতে সিন্ডিকেট লোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. হেদায়েতুল্লাহ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান, বিআইএফএফেএলের নির্বাহী পরিচালক এসএম ফরমানুল ইসলাম, এনবিআর ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেন, সাবিনকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী শাইরুল হাসান, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আরেফিন।