তুমিও নতুন আমিও নতুন, চলো হাত মেলাই: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বাণিজ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারকে ‘খোলা মনে’ দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2019, 11:45 AM
Updated : 5 Feb 2019, 01:24 PM

মাস দুয়েক আগে দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে আসা রাষ্ট্রদূতকে আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে তাদের জন্য সহজে ব্যবসা করার পথ তৈরি করে দেবেন।

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

পরে টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। আর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।

“তারা এটা বাড়াতে চায়। আমি বলেছি, আমাদের দেশে বিনিয়োগ কর, ব্যবসা সহজকরণ করে দেব।”

গত ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেন মিলার।

সেই প্রসঙ্গ টেনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “উনিও দুই মাস হয়েছে এসেছেন, আমি বললাম, তুমিও নতুন, আমি হচ্ছি এক মাস (দায়িত্বে), চল হাত মেলাই একসাথে সামনের দিকে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য কী করতে পারি।

“তিনি বলেছেন, আমি তোমাদের বড় একজন সেলসম্যান হতে পারব তোমাদের পক্ষে।”

মন্ত্রী বলেন, “দিল্লিতে যারা এসে ঘুরে যায় তাদের সে (রাষ্ট্রদূত) বাংলাদেশে ডাকতে চেয়েছে। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে কমার্শিয়াল কাউন্সেলর নেই সেটা নিয়ে কথা হয়েছে, উনি বলেছেন খুব শিগগিরই এর ব্যবস্থা হবে। আমরা দুজন একসাথে কাজ করে বাণিজ্য বাড়াতে চাই।”

খরচ বাড়ার পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “তাদের লোকদের এই মেসেজটা পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেছি। জিএসপির সমস্যাও দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন নতুন রাষ্ট্রদূত।

“আমার মনে হয়েছে উনি খুবই পজিটিভ মানুষ। সামনের দিনগুলোতে দুজন একসাথে কাজ করলে আমাদের ব্যবসা ইমপ্রুভ করবে।”

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কেমন করে ব্যবসা বাড়ানো যায়, কেমন করে একসাথে কাজ করতে পারি সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন বিনিয়োগ যেন আসে সেই চেষ্টা করবেন বলে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী ও তার কাছাকাছি সময়ে দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, “বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর এটা ভালো সুযোগ।”

শ্রমিক ও কারখানার নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের অধিকার তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বিনিয়োগ ভালো থাকায় আমি গর্বিত।”

শুধু উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেই নয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত মিলার।