চাহিদার ৩ গুণ বেশি মাছ উৎপাদন হচ্ছে শার্শায়

যশোরের শার্শা উপজেলায় চাহিদার তিন গুণ বেশি মাছ উৎপাদন হচ্ছে বলে মৎস্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আসাদুজ্জামান আসাদ, বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2019, 06:10 AM
Updated : 5 Feb 2019, 10:46 AM

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত মাছ অন্যান্য এলাকায় পাঠানো হয়।

মাছ চাষ করে এ উপজেলায় সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবার সচ্ছল হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আর এতে কর্মসংস্থান হয়েছে আরও ৫০ হাজার মানুষের।

“উপজেলার ১৫টি বাঁওড়, ২৭১টি ঘের, ১০টি বিল ও ছয় হাজার ৬১৯টি পুকুর মিলে মোট ছয় হাজার ২৩৯ হেক্টর জলাশয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে এই মাছ চাষ করা হচ্ছে। এখানে বছরে ২২ হাজার ৪৮৫ মেট্রিকটন উৎপাদন করা হয়। কিন্তু স্থানীয় চাহিদা মাত্র সাত হাজার ৫৭২ মেট্রিকটন।”

মাছ চাষ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, পরিবহন ও বিপণন বিভাগে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ এলাকায় প্রধানত দেশি রুই-কাতলার পাশাপাশি দ্রুত বর্ধনশীল সিলভার কার্প, মিনার কার্প, জাপানি রুই, গ্লাস কার্প, মাগুর, কই, পাঙ্গাস, নাইলোটিকা, তেলাপিয়া, বাটা মাছ চাষ হয় জানিয়ে তিনি বলেন, তবে ইদানীং বিলুপ্তপ্রায় পাবদা, শিং, মাগুর ও গুলশা মাছের চাষে লাভ বেশি হওয়ায় সেদিকে ঝুঁকছেন চাষিরা।

উপজেলার বড় বসন্তপুর গ্রামের কে এম ফিরোজ মামুন ২০১০ সাল থেকে নিজ গ্রামে মাছ চাষ করছেন।

ফিরোজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ১৫ বিঘার চারটি পুকুরে মাছ চাষ করছি। মাসে সাত হাজার টাকা বেতনে দুইজনকে সার্বক্ষণিক দেখাশুনার জন্য রেখেছি। চারটি পুকুরে মাছের পোনা, খাদ্য, ওষুধ ও তদারকে গত বছর খরচ হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। তবে মাছ বিক্রি করে পেয়েছি প্রায় ২৩ লাখ টাকা। আমার খামারে আছে পাবদা, শিং, মাগুর ও গুলশা।”

এছাড়া পুকুর পাড়ে সবজি চাষ করছেন অনেকে।

আমলাই গ্রামের ছাফিয়া খাতুন বলেন, “আমি ৯৫ শতকে মাছ চাষ করে সংসারে সুখ এনেছি। এছাড়া সবজি বেঁচেও পাচ্ছি বেশ টাকা।”