তবে এই লক্ষ্য পূরণে ব্যাংক ঋণ সহজলভ্য করা এবং ঋণের সুদহার কমানোসহ এই শিল্পে আরও কিছু সুযোগ সুবিধা দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর কুড়িলে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে চার দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো’ এর উদ্বোধনী পর্বে পোশাক খাত নিয়ে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মোট রপ্তানির ৮১ দশমিক ২৩ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে।
“২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে তখন পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হবে বার্ষিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২৪ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করা সম্ভব হবে।”
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।
“আমাদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতের রপ্তানি বৃদ্ধিতে এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। ব্যাংকের লোন সহজ ও সুদের হার কমানো প্রয়োজন।”
আন্তর্জাতিক আয়োজক সংস্থা সেমস গ্লোবাল এবং চীনের সাব-কাউন্সিল অব টেক্সটাইল ইনডাস্ট্রি টেক্স এর যৌথ উদ্যোগে পোশাক শিল্পের সর্বশেষ প্রযুক্তির পণ্য নিয়ে এবারের ‘১৫তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো-২০১৯’ আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সেমস্ গ্লোবালের কর্ণধার মেহেরুন এন. ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানসহ আরও কয়েকজন পোশাক ব্যবসায়ী।