৫ তারকা অনন্য অর্জন: বিমান

একটি আন্তর্জাতিক জরিপের ফলাফলে নিরাপদ এয়ারলাইন্সের তালিকায় আসাকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2019, 02:34 PM
Updated : 13 May 2019, 12:07 PM

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের জিএম শাকিল মেরাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  “বিমান সাত তারকার মধ্যে পাঁচ তারকা অর্জন করেছে। এটি একটি অনন্য অর্জন। আগামীতে সাত তারকা অর্জনে কাজ করে যাব।” 

এরপর সাত তারকা অর্জন করতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি। 

২০১৮ সালে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে পাঁচ তারকা পেয়ে এয়ারলাইনরেটিংসের করা বিশ্বের নিরাপদ এয়ারলাইন্সের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বিমান।

১২টি পৃথক মানদণ্ড ব্যবহার করে বিশ্বের ৪০৫টি এয়ারলাইন্সের তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই তালিকা তৈরি হয়েছে।

গত নভেম্বরে এয়ারলাইনরেটিংস ডটকমের ওয়েবসাইটে প্রকাশ পেয়েছে সেরা এয়ারলাইন্সের তালিকা।

সরকারি, বিশ্ব এভিয়েশন গভর্নিং বডি ও এভিয়েশন সংশ্লিষ্ট শীর্ষ সংগঠনগুলোর অডিটের আলোকে এই মানদণ্ড করা হয়। এছাড়া প্রতিটি এয়ারলাইনের উড়োজাহাজের বয়স ও লাভের হারের সঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়া ও গুরুতর ঘটনার রেকর্ডও ঘেঁটে দেখা হয় এ রেটিংয়ে।

নিরাপদ এয়ারলাইন্সের মানদণ্ডে পাঁচ তারকা পেয়েছে বিমান।

এর মধ্যে আইয়াটা অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সনদপ্রাপ্ত হওয়ায় তিন তারকা অর্জন করে বাংলাদেশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) কালো তালিকাভুক্ত না হওয়ায় পূর্ণ তারকা পায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান সংস্থাটি।

গত ১০ বছরে দুর্ঘটনা এড়াতে পারায় ও কোনো আরোহীর মৃত্যু না হওয়ায় আরেকটি পূর্ণ তারকা ঘরে আসে বিমানের। 

যাত্রী সেবায় সাত তারকার মধ্যে চার তারকা আদায় করে নিয়েছে ৪৭ বছর ধরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে  ফ্লাইট পরিচালনা করা এই সংস্থাটি।

যাত্রী নিরাপত্তাকে সবার আগে বিবেচনা করার  কারণে এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বলে মন্তব্য করেন শাকিল মেরাজ। 

১৯৭২ সালের জানুয়ারি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অতি নিরাপদ ও উন্নত যাত্রীসেবার লক্ষ্য স্থির করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিমান ২৩ লাখ ৫১ হাজার যাত্রী বহন করেছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১.৪ শতাংশ বেশি।

চারটি ৭৮৭ ড্রিমলাইনারসহ ১০টি উড়োজাহাজ কিনতে ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের সঙ্গে দুই দশমিক এক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা।