মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে ২০১৬ সালের সিআইপি কার্ড তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন।১৯৭২ সালে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ৩৪৮ মিলিয়ন ডলার।
আর গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাত মিলিয়ে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪৪ বিলিয়ন।
“রপ্তানি আয় বাড়াতে সরকার নতুন নতুন পণ্যে প্রণোদনা দিচ্ছে। নতুন নতুন বাজার সৃষ্টির জন্যও প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।”
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্যসহ ইপিবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের সিআইপি নীতিমালা অনুসারে ২০১৬ সালে মোট ১৮টি খাতের ব্যবসায়ীদের কার্ড প্রদান করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, কাঁচাপাট, পাটজাত দ্রব্য, চামড়াজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, ওভেন গার্মেন্টস, কৃষিজাত পণ্য, এগ্রোপ্রসেসিং, ফার্মাসিউটিক্যালস, হস্তশিল্পজাত দ্রব্য, প্লাস্টিকজাত পণ্য, ওভেন ও নিটওয়্যার পোশাক, টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য।
এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যে অবদান বিবেচনায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে ৪১ জনকে দেওয়া হয়েছে সিআইপি কার্ড।
কার্ডপ্রাপ্তদের কয়েকজন হলেন- স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান আহমেদ, বাবুল জুট ট্রেডিংয়ের মালিক নুরুল ইসলাম বাবুল, রেজা জুট ট্রেডিংয়ের সেলিম রেজা, জনতা জুট মিলস লিমিটেডের এমডি নাজমুল হক, কুলিয়ার চর সি ফুডের চেয়ারম্যান মুছা মিয়া প্রমুখ।
সরকারি গেজেটের তথ্য অনুযায়ী, সিআইপি হিসাবে নির্বাচিত ব্যবসায়ীরা সচিবালয়ে প্রবেশে পাস, গাড়ির স্টিকার, জাতীয় অনুষ্ঠান ও সিটি করপোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। বিমান, সড়ক, রেলপথ ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার থাকবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। একই সঙ্গে সিআইপিদের জন্য ব্যবসায় সংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে ‘লেটার অব ইনট্রোডাকশন’ ইস্যু করবে। সিআইপিরা বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। সিআইপি ব্যক্তিদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। সিআইপি (রপ্তানি) কার্ডের আওতায় এক বছর ও পরবর্তী সিআইপি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তারা এ সুবিধা পাবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।