নির্বাচনকে সামনে রেখে মজুরি নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে শ্রমিকদের উত্তেজিত করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
শনিবার কয়েকজন শ্রমিক নেতাকে সঙ্গে নিয়ে চলমান পরিস্থিতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিজিএমইএ।
শ্রমিক নেতা আমিরুল হক আমিন, সালাউদ্দিন স্বপন, তৌহিদুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম রনি, নাজমা আক্তারসহ আরও কয়েকজন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫১ শতাংশ বাড়িয়ে গত ২৫ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। সেখানে ন্যূনতম মজুরি ঠিক করা হয়েছে আট হাজার টাকা।
ঘোষিত কাঠামোয় ভাতা ও ক্ষেত্র বিশেষে বেতন আগের চেয়ে কমে যাবে যুক্তি তুলে গত কয়েকদিন ধরে আশুলিয়া ও গাজীপুরে কর্মবিরতি পালন করেছেন শ্রমিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। সেক্ষেত্রে শ্রমিকরা জানুয়ারি মাসে নতুন মজুরি হাতে পাবেন। সেই বেতন শ্রমিকের হাতে যাওয়ার পরই মালিক এবং শ্রমিকরা বেতনের হ্রাস/বৃদ্ধি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন।
“এটি একটি সরকারি প্রজ্ঞাপন। এখানে মালিকপক্ষের কোনো হাত থাকার সুযোগ নেই। এটা এখন মালিকরা মানতে বাধ্য। সুতরাং বেতন হাতে পাওয়ার আগে কোনো মহলের পক্ষ থেকে বেতন কাঠামোর ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর।”
সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতা আমিরুল হক আমিনও বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে
বলেন, “সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখা সবার দায়িত্ব।
“শ্রমিকদের বর্তমান মজুরি নিয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে, দ্বিমতও করতে পারেন অনেকে। সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যাবে। শ্রমিকরা চাইলে সংশ্লিষ্ট সংগঠন অথবা বিজিএমইএর সাথে যোগাযোগ করতে পারে।”