প্রবাসী প্রকৌশলীদের সম্মেলন: ওয়াশিংটনে প্রস্তুতি সভা হলো

প্রবাসে বসবাসরত প্রকৌশলীদের নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ম্যাক্স গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2018, 03:31 PM
Updated : 12 Dec 2018, 04:40 PM

স্থানীয় সময় শনিবার ওয়াশিংটন ডিসির একটি রেস্তোরাঁয় কনভেনশন অব এনআরবি ইঞ্জিনিয়ার্স (সংক্ষেপে কোন) এর এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়, যার প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন। 

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন এ সম্মেলনের মূল প্রবন্ধের আলোচক ও পরিকল্পনাকারী ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর।

এছাড়া এই ভিডিও কনফারেন্সে ম্যাক্স গ্রুপের ঢাকা অফিসে যুক্ত হোন প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলী সানাউল হক , মো. হারিসুজামান, দেওয়ান মাহমুদ মীম এবং ব্রিজ-টু-বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী সন চৌধুরী।

সভাটি পরিচালনা এবং সম্মেলন সম্পর্কে বিস্তারিত জানান সম্মেলনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান ব্রিজ-টু-বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান আজাদুল হক। এছাড়া বক্তব্য দেন সম্মেলনের কো-কনভেনর জলিল খান, ব্রিজ-টু-বাংলাদেশ এর এক্সিকিউটিভ মেম্বার মোহাম্মদ আলমগীর এবং  নিউ জার্সি থেকে আগত মোহাম্মাদ জামান।

সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার লক্ষ্যে ম্যাক্স গ্রুপের সৌজন্যে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কনভেনশন অব এনআরবি ইঞ্জিনিয়ার্স বা কোন।

প্রস্তুতি সভায় আজাদুল হক তার বক্তব্যে সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, “বিশ্বমানের দুই দিনের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির ২৬ এবং ২৭ তারিখে ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে।”

আয়োজকরা জানান, সম্মেলনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন এসডিজি মুখ্য সমন্নয়কারী আবুল কালাম আজাদ।

সভায় রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন তার প্রধান অতিথির ভাষণে সম্মেলনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগকে দূতাবাস থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। কারণ এই ধরনের সম্মেলন এবং কর্মকাণ্ড বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সম্মান আরো উঁচু করবে। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তার নমুনা হিসেবে এই সম্মেলন একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রইবে। দেশের মেধাবী সন্তানেরা  ফিরে আসছে দেশে, ব্রেইন ড্রেন বদলে হয়ে যাচ্ছে ব্রেইন গেইন – এর চেয়ে বড় সুসংবাদ আর কি হতে পারে বাংলাদেশের জন্য!”

তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক উল্লেখ করে বলেন, “বাংলাদেশ এখন আর আগের মতন নেই। এখন প্রচুর সুযোগ তৈরি হচ্ছে।”

গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের কাছে জমেছে আমাদের অনেক ঋণ। এবার আমাদের ঋণ শোধ করার পালা। আমরা যারা এনআরবি ইঞ্জিনিয়ার, তারা দেশ গড়ার কাজে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হতে চাই। আমরা আমাদের মেধা, প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাব আমাদের এই বাংলাদেশ।”

“তাই সারা বিশ্ব থেকে সব মেধাবী এনআরবি ইঞ্জিনিয়ারদের এক জায়গায় এনে তাদের কাছ থেকে আমরা জানব, শিখব আগামীতে কেমন হবে বাংলাদেশ, কোন লাগসই প্রযুক্তি হবে সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য, কীভাবে আমরা সাশ্রয় করতে পারি প্রকল্পগুলো যাতে জনগণের অর্থ অপচয় না হয়।”

তিনি ব্রিজ-টু-বাংলাদেশকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করার জন্য।

সবশেষে তিনি সব প্রবাসী প্রকৌশলীদের আমন্ত্রণ জানান ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য।

সম্মেলনের কো-কনভেনর ইঞ্জিনিয়ার জলিল খান তার বক্তব্যে প্রকৌশলীদের এই সম্মেলনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরাই বদলে দিতে পারি বাংলাদেশ আমাদের মেধা আর অভিজ্ঞতা দিয়ে।”

ব্রিজ-টু-বাংলাদেশ এর এক্সিকিউটিভ মেম্বার মোহাম্মদ আলমগীর তার বক্তব্যে সংগঠন সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন। তিনি জানান, এটি একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং এর সব কাজ হচ্ছে বাংলাদেশকে ঘিরে।

তিনি বলেন, “আমাদের স্লোগান,  উই আর ফর বাংলাদেশ। আগামীতে বিটুবি এই কোনের মতন আরো অনেক সম্মেলনের আয়োজন করবে। যেমন এর পরের সম্মেলন হবে সব এনআরবি ডাক্তারদের নিয়ে।”

প্রস্তুতি সভাটি আয়োজন করতে সহায়তা করায় রেদোয়ান চৌধুরী, অ্যান্থনি পিউস গোমেস, আবু সরকার এবং আরিফুল ইসলামকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং সম্মাননা সার্টিফিকেট দেন ব্রিজ-টু-বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান আজাদুল হক।

এরপর সম্মেলন নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। সভাশেষে অতিথিদের মধ্যাহ্ন ভোজে আপ্যায়ন করা হয়।

এই সম্মেলন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে www.cone2019.com- এই ওয়েব সাইট থেকে। 

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!