এই সেবা দিতে মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড রেমিটের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নতুন সেবা চালু করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। গুলশানের ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সমন্বিতভাবে রেমিটেন্সের এ সেবার উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বের ডিজিটাল মানি ট্রান্সফার কোম্পানি ওয়ার্ল্ড রেমিটের অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশ থেকে ১৪৫টি দেশের রেমিটেন্স পাঠানো যায়।
ব্র্যাক ব্যাংক ও বিকাশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ওয়াল্ড রেমিট বাংলাদেশেও এই সেবা চালু করল। এতে ব্র্যাক ব্যাংকের ১৫ লাখ অ্যাকাউন্টধারী ও বিকাশের তিন কোটি মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টধারীরা রেমিটেন্সের অর্থ গ্রহন করতে পারবেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ১৮৬টি শাখা ও ৩০টি এসএমই অফিসের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করা যাবে। এতে প্রবাসীরা তুলনামূলক কম খরচে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগ পাবেন।
ওয়ার্ল্ড রেমিটের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশের মোবাইল মানি ওয়ালেটে টাকা পাঠানো যাবে। ওয়ার্ল্ড রেমিটের সাহায্যে প্রেরিত এ অর্থ গ্রাহকরা তাদের বিকাশ একাউন্ট থেকে অন্য বিকাশ একাউন্টে পাঠাতে, মোবাইলে রিচার্জ করতে, বিল পরিশোধ ও কেনাকাটা করতে পারবেন।
গ্রাহকরা বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন অথবা তাদের বিকাশ একাউন্টে জমা রাখতে পারবেন।
বিশ্বের অর্ধ শতাধিক দেশে থাকা প্রবাসীদের উপার্জিত অর্থ নিজ দেশে পাঠানোর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড রেমিটের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তামের ই এল-ইমারি বলেন, “বাংলাদেশি প্রবাসীদের অর্থ স্বল্প খরচে, দ্রুত, সহজ ও নিরাপদে দেশে পাঠাতে সহায়তা করবে আমাদের প্রতিষ্ঠান।”
“অর্থ পাঠানোর খরচ স্বাভাবিকের তুলনায় অর্ধেকও বেশি কমিয়ে আনা যাবে এ উপায়ে।”
“সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে কম খরচে ব্র্যাক ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশে রেমিটেন্স পাঠাতে পারবেন প্রবাসীরা।যুক্তরাজ্য থেকে অন্য মাধ্যমে অর্থ পাঠালে পাঁচ শতাংশের মত খরচ হয়। কিন্তু ওয়ার্ল্ড রেমিটে সেই খরচ হবে মাত্র দেড় শতাংশ।”
২০২০ সালের মধ্যে উদীয়মান অর্থনীতির দেশসমূহে এক কোটি গ্রাহকের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড রেমিটের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে জানান তামের ই এল-ইমারি।
ব্র্যাক ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান নাজমুল রহিম বলেন, “প্রবাসী ১ কোটি বাংলাদেশিদের অর্থ নিরাপদে ও দ্রুত দেশে আনার জন্যই এই সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর ফলে কোন এজেন্টের কাছে না যেয়েই প্রবাসীরা কম খরচে তাদের অর্জিত অর্থ দেশে পাঠাতে পারবেন।”
‘এরই মধ্যে ওয়ার্ল্ড রেমিট প্রবাসীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে’ মন্তব্য করে বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, “সেবাটি চালুর ঘোষণা দেওয়ার মধ্যেই এক হাজার ৬৯টি ট্রানজেকশন হয়েছে, এই সংখ্যা আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে।”
“সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স দেশে আসবে। নির্দেশনা অনুযায়ী বিকাশ গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে অর্থ পৌঁছে দেবে। সমন্বিত এই কার্যক্রম হবে অতি দ্রুত।”