‘এক ব্যক্তির কোম্পানি’ খোলার সুযোগ আসছে

বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবসায় পরিবেশের সূচকে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে `এক ব্যক্তি কোম্পানি’ খোলার সুযোগ রেখে কোম্পানি আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2018, 01:37 PM
Updated : 26 Nov 2018, 01:37 PM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “সংশোধিত আইনে ‘এক ব্যক্তি কোম্পানি’ ধারণাটি যুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে থাকলেও আমাদের আইনে এ বিষয়টি ছিল না, তাই এটাকে আইনের মধ্যে আনা হচ্ছে।”

কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি পরিচালিত হতে হবে পরিচালনা পর্ষদের  মাধ্যমে। এই পর্ষদ বা বোর্ডের পরিচালক ও চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

প্রস্তাবিত আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘এক ব্যক্তি কোম্পানি’ হল সেই কোম্পানি, যার বোর্ডে সদস্য থাকবেন কেবল একজন।

পরিচালক এবং প্রধান ব্যক্তি একজন থাকেন বলে এ ধরনের কোম্পানি পর্ষদ সভা করা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নিয়মের ছাড় পায়।  

শফিউল বলেন, “যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি যৌথভাবে কোনো কোম্পানির এক বা একাধিক শেয়ারের মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে তারা এই সংজ্ঞার উদ্দেশ্য পূরণে একজন সদস্য বলে গণ্য হবেন। প্রাইভেট কোম্পানির সংজ্ঞায় এই অংশটা ইনসার্ট করা হয়েছে।”

কী কারণে এই সংশোধনী আনা হচ্ছে জানতে চাইলে শফিউল বলেন, “আমরা ব্যবসার পরিবেশ সূচকে অনেক পেছনে। ব্যবসা চালুর প্রক্রিয়া সহজতর করতে এটা করা হচ্ছে।”

বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের সর্বশেষ ‘ডুয়িং বিজনেস’ প্রতিবেদনে ব্যবসা করার পরিবেশের দিক দিয়ে বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৬ নম্বরে।

সরকার আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে ১০০ এর নিচে নিয়ে আসার লক্ষ্য ঠিক করেছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। 

তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা ৫০ লাখ হলেও ‘ওয়ান পারসন কোম্পানি’ খোলার সুযোগ থাকায় সেখানে ১০ লাখ ছোট ছোট কোম্পানি গড়ে উঠেছে।