রোববার ক্ষমতাসীন দলের অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রধানের বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমানকেও দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আসন ভাগাভাগির আলোচনার মধ্যে সালমান রহমানের আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলামও।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই যাত্রা শুরু করা বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে।
ওষুধ, সিরামিক, বস্ত্র, জ্বালানি, তথ্য প্রযুক্তি খাতের ব্যবসা রয়েছে এই গ্রুপের, রয়েছে গণমাধ্যমও। বেক্সিমকো গ্রুপের বেশ কয়েকটি কোম্পানি পুঁজিবাজারেও তালিকাভুক্ত।
২০০১ সালের নির্বাচনে এই আসনে নৌকার টিকেটে নির্বাচনে করে তার আত্মীয় তৎকালীন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার কাছে পরাজিত হন সালমান রহমান।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসার আগে নিজের গড়া ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আন্দোলন’ থেকে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ধানমণ্ডি এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও জামানত হারিয়েছিলেন সালমান।
এরপরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদে বিএনপি প্রার্থী সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আবদুল মান্নান খান; যিনি ২০০৯-২০১৩ সময়ে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে আসন ভাগাভাগি হলেও ঢাকা-১ আসন উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল।
সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মান্নান খানকে পরাজিত করে গত পাঁচ বছর জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন যমুনা গ্রুপের মালিক নুরুল ইসলাম বাবুলের স্ত্রী সালমা।
এবারও নিজের দল থেকে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন যুগান্তর পত্রিকার এই প্রকাশক।