আড়াই মাস আগে তিনি এই আসনে উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এই শিল্পপতি।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা গত ২৫ জুলাই মারা গেলে খুলনা-৪ (রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা) আসনটি শূন্য হয়।
সেপ্টেম্বরের উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হন সালাম মূর্শেদী । আর কোনো প্রার্থী না থাকায় ফাঁকা মাঠেই গোল দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার।
৫৫ বছর বয়সী সালাম মূর্শেদীর বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলায়। নিজের জেলায় তরুণ বয়সেই পরিচিত পান ক্রীড়াবিদ হিসেবে। সত্তরের দশকে ঢাকায় আসার পর তিনি হয়ে ওঠেন ঢাকার ফুটবলের তারকা খেলোয়াড়দের একজন।
মোহামেডানের হয়ে ১৯৮২ সালে জাতীয় ফুটবল লীগে ২৭ গোল করেন সালাম মূর্শেদী, যা এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সরকার ২০০৩ সালে তাকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত করে।
বিজেএমসিতে খেলার সময় প্লাটিনাম জুট মিলের সুপারভাইজার হিসেবে চাকরিতে থাকা অবস্থায় সালাম মূর্শেদীর মনে শিল্প কারখানা গড়ার পরিকল্পনা দানা বাঁধতে থাকে। পরে কুতুব উদ্দিন আহমেদের সাথে মিলে ১৯৮৪ সালে গড়ে তোলেন এনভয় গ্রুপ।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী বর্তমানে বাংলাদেশে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইএবি) সভাপতি।
ক্যারিয়ারে ব্যবসার সঙ্গে এখন রাজনীতি যোগ হলেও সালাম মূর্শেদী ক্রীড়াঙ্গন ছাড়েননি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) তিনি আছেন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হিসেবে।
উপ-নির্বাচনের পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে সালাম মূর্শেদী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুনরায় আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি খুবই খুশি। আমার প্রতি আস্থা রেখে প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন।
নির্বাচিত হলে সেই আস্থার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমার নিজের নির্বাচনী এলাকা এবং খুলনা অঞ্চলের উন্নয়নের মাধ্যমেই সেই প্রতিদিান দিতে চাই।”