এর ফলে পেওনিয়ার একাউন্টধারী ফ্রিলান্সাররা দ্রুত ও সহজে আয়কৃত অর্থ হাতে পাবেন এবং টাকাকে ডলারে ট্রান্সফার করার সুযোগ পাবেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলের পূর্বানী হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
কার্ডটি এক্সপোর্ট রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) সম্বলিত হওয়ায় ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অর্থের ৭০ শতাংশ মার্কিন ডলারে ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এর সঙ্গে স্বাধীন কার্ডে মাস্টারকার্ড ও ব্যাংক এশিয়ার দেওয়া সব সুবিধাও মিলবে।
“গত বছর শুধুমাত্র বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা পেওনিয়ার ব্যবহার করে দেশে ১০০ মিলিয়ন ডলার এনেছে।"
পেওনিয়ার যুক্ত হওয়ার পর, গত মাসে স্বাধীন মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে ৭ মিলিয়ন ডলার দেশে এসেছে বলে জানান ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলি।
"ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ লেনদেন স্বাচ্ছন্দ্যময় করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। আগে যেখানে ব্যাংকে যেয়ে কাজ করতে হত সেখানে এখন ঘরে বসে অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন তারা।"
এছাড়াও এই কার্ডের মাধ্যমে দেশের যেকোন ব্যাংকে অর্থ লেনদেন করা সম্ভব হবে জানিয়ে আরফান আলী বলেন, শুধুমাত্র স্বাধীন মাস্টারকার্ডধারীদের জন্য আলাদা কল সেন্টার, সেবা ডেস্ক, ওয়েব সাইট ও অনলাইনে একাউন্ট খোলার সুবিধাও চালু করা হবে।
এ বছরের শুরুতে মাস্টারকার্ড ও বেসিসের সহযোগিতায় স্বাধীন কার্ড চালু হয়; যা বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারের জন্য প্রথম পেমেন্ট সিস্টেম।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির এবং মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।