প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে ১০০টিরও বেশি দেশে এসএমই ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু আছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এই স্কিম বাংলাদেশে প্রচলন নেই।
‘গ্যারান্টি স্কীম চালু হলে ব্যাংকিং ঝুঁকি কমে আসবে’ প্রত্যাশা করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সরকারের একাধিক সংস্থা মিলে ২০০ কোটি টাকার এসএমই গ্যারিন্ট স্কিম চালু করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের -বিআইবিএম এই গবেষণা প্রতিবেদনের উপর এক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম মিলনায়তনে এই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের চেয়ার অধ্যাপক বরকত-এ-খোদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের পরিচালক প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী।
‘ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কীম ফর প্রোমোটিং একসেস টু ফাইন্যান্স ফর এসএমই’স’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহকারি অধ্যাপক মোশাররেফ হোসেন। চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ গবেষণা করেছে।
গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিআইবিএমের সহকারি অধ্যাপক মহব্বত হোসেন, আনিলা আলী এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক নাজিম হাসান সাত্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এসএমই ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ড (এসএমইসিজিএফ) চালু করা যেতে পেরে। যা সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এসএমই ফাউন্ডেশন যৌথভাবে পরিচালনা করবে। সরকার বাজেটে মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা দিয়ে এ ধরণের ফান্ডের কাজ করা শুরু হতে পারে।
“ক্রমেই এ অর্থের পরিমান বাড়বে। ব্যাংক এবং সরকার যৌথভাবে ঝুঁকি নেবে।”
আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি ডেপুটি গভর্নর এস এমমনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন, এসএমই খাতে অর্থায়নে বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। বিশেষ করে এসএমই খাতের অর্থায়নকে অনেকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে। এসব দিক বিবেচনায় এসএমই খাতের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি স্ক্রিম চালু করলে সুফল বয়ে আনবে।
অন্যান্যের মধ্যে পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইয়াছিন আলি বক্তব্য রাখেন।