বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বড় ময়দানে ৩ দিন ব্যাপী এই উৎসবের উদ্ধোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বজলুর রশিদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বঙ্গ মিলারস লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহান শাহ ও ক্যাটাগরি ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান।
নবান্ন উৎসবে বিভিন্ন ধরনের পিঠা ও প্রানের উৎপাদিত নানা পন্য নিয়ে ২০টি স্টল সাজানো হয়েছে।এই উৎসবে রয়েছে বাংলার গান ও নৃত্য, গ্রামীন খেলা ,কৌতুক, নাটকসহ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা প্রদর্শনী।
এছাড়া হাডুডু খেলা, বৌছি, বিস্কুট দৌড়, ফ্যাশন শো, গুপ্তধন উদ্ধার এবং পাতিল ভাঙ্গাসহ নানা প্রতিযোগিতার আয়োন করা হবে ।
প্রাণ চিনিগুড়া চাল নবান্ন উৎসব নিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘কৃষকের নবান্ন উৎসব’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনায় ও উপস্থাপনায় রয়েছেন রফিক রাজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গ মিলারস লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহান শাহ আজাদ বলেন, “কালের বিবর্তনে আমাদের সংস্কৃতি থেকে অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসব হারিয়ে যাচ্ছে। নবান্ন উৎসবের মতো এমন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে শহরের মানুষ বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে আমরা গত কয়েক বছর ধরে রাজধানী ঢাকাতে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে আসছি।”
“প্রাণ চিনি গুড়া চাল বর্তমানে ১০০ টির বেশি দেশে রপ্তানি হয়। এ ক্ষেত্রে দিনাজপুরের কৃষকের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তারা নবান্ন উৎসব থেকে বঞ্চিত হয়। নবান্ন উৎসব কৃষকদের সাথে উদযাপন করার জন্যই আমাদের এই আয়োজন।”
অনুষ্ঠানে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাইফুল আলম এবং বঙ্গ মিলারস লিমিটেডের ক্যাটাগরি ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।