আটচল্লিশ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন সোমবার রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ, ধনিয়াপাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঢেঁড়শ, শিম এবং লাউ।
মিরপুরের বড়বাগ কাঁচাবাজারের বিক্রেতা আব্দুল ওয়াহাব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধর্মঘটের কারণে অনেক সবজির দামই বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম।
“গতকাল কাঁচামরিচ কিনেছিলাম পাল্লা (পাঁচ কেজি) আড়াইশ থেকে তিনশ টাকায়। প্রতিকেজি বিক্রি করা গেছে ৬০ টাকায়। কিন্তু আজ সকালে দেখি প্রতি পাল্লা ছয়শ থেকে সাতশ টাকা। আজকে খুচরায় ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।”
ধনিয়া পাতারও দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।
“ধনিয়া পাতার পাল্লা দুইদিন আগে ছিল পাঁচশ টাকা, গতরাতে তা হয়ে গেছে সাতশ টাকা।”
এই বাজারের আরেক বিক্রেতা আবু বকর বলেন, “দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। কারওয়ান বাজারে পণ্যবাহী ট্রাকও এসেছে কম। ফলে অনেকেই পণ্য না কিনে ফিরে এসেছেন।
“এর মাঝেও যারা পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনতে পেরেছেন তাদের কাছ থেকে ধার নিয়ে অন্য দোকানগুলো চলেছে।”
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ধর্মঘটের একদিন পার হতেই ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম প্রতিটি ২০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছে। লাউয়ের দাম দুই টাকা বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছে।
একইভাবে ঢেঁড়শের দামও বেড়ে গেছে। শিম ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮০ টাকায়।
মূলত মধ্যরাতের পরেই ঢাকার পাইকারি বাজারগুলোতে জেলা শহর থেকে সবজিবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। রোববার রাতে অন্যদিনের তুলনায় অর্ধেকেরও কম ট্রাক আসতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কারওয়ান বাজারে সবজি বিক্রেতা গোলাম মাওলা বলেন, “ধর্মঘটের কারণে রাতে হাতে গোনা কয়েকটি ট্রাক আসতে পেরেছে। সকালেও কয়েকটি ট্রাক এসেছে।”
অন্যদিন কারওয়ান বাজারে বেচাকেনার শোরগোল থাকলেও সোমবার তা ছিল একেবারেই নিরিবিলি।
এই বাজারের খুচরা বিক্রেতা মাকসুদুর রহমান বলেন, “সরবরাহ কম থাকায় সবজির দামও বেড়েছে। তবে দাম কমতেও বেশি সময় লাগে না।”
কারওয়ান বাজারেও খুচরায় শিম ও বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে এদিন।
তবে মাছ-মাংসের দাম অপরিবর্তিত ছিল। প্রতি ডজনে পাঁচ টাকা থেকে ১০ টাকা কমেছে গত সপ্তাহের শেষ দিকে বেড়ে যাওয়া ডিমের দামও।
বড়বাগ ও কারওয়ান বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১০৫ টাকায়, আর ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকায়।