নয় মাসে গ্রামীণফোনের গ্রাহক প্রবৃদ্ধি ১১.৮%

গ্রাহকসংখ্যায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষ করেছে গ্রামীণফোন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2018, 08:21 AM
Updated : 23 Oct 2018, 08:21 AM

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের শীর্ষ এই মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসংখ্যা ৭ কোটি ১৪ লাখে দাঁড়িয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৬৩ লাখ হওয়ায় গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কের মোট গ্রাহকের ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।

৩য় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের প্রথম নয় মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ হাজার ৮০১ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় এক দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।

গত বছরের তুলনায় ইন্টারনেট থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ আর ভয়েস রাজস্ব বেড়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। অ্যাকাউন্টিং পদ্ধতি পরিবর্তনের ফলে গত বছরের তুলনায় মোট রাজস্ব প্রবৃদ্ধি দাড়িয়েছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ।

এক নজরে গ্রামীণফোনের ২০১৮ এর প্রথম নয় মাস

>> সেপ্টেম্বরের শেষে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ইন্টারনেট গ্রাহকসহ মোট গ্রাহকসংখ্যা ৭ কোটি ১৪ লাখ

>> রাজস্ব আয় ৯৮০০১ কোটি টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ১.৯% বেশি প্রবৃদ্ধি

>> ৪জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৩০০০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ

>> এবছর এখন পর্যন্ত সরকাররি কোষাগারে জমা ৬৯০১ কোটি টাকা

গ্রামীণফোন সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, “২০১৮ সালের ৩য় প্রান্তিকে বেশ কিছু নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইন্টারনেটে ভ্যাট হ্রাস এবং সমন্বিত ফ্লোর ট্যারিফ। এই সময়ে আমরা ৩৮ লাখ ৪জি গ্রাহক অর্জন করেছি এবং আমাদের মোট গ্রাহকের অর্ধেকের বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। আমাদের নতুন ভয়েস এবং ডাটা অফারগুলো বাজারে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে।”

বছরের প্রথম নয় মাসে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ মার্জিনসহ গ্রামীণফোনের করপরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। এই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৯ দশমিক ৩১ টাকা।

গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিখ ব্রোতেন বলেন, “এই সময়ে গ্রামীণফোনের ইবিআইটিডিএ প্রবৃদ্ধি ও মার্জিন ভালো হয়েছে। কোম্পানি গ্রাহকদের সেরা নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা দিতে এবং মানসম্পন্ন গ্রাহক সংগ্রহে মনোযোগ দিয়েছে।”

এবছর গ্রামীণফোন ৪জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৩ হাজার কোটি ৭০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে।

এই প্রান্তিকে কোম্পানি কর, ভ্যাট, শুল্ক, স্পেকট্রাম প্রাপ্তি, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ও লাইসেন্স ফি বাবদ সরকারী কোষাগারে ২ হাজার ১০৪ কোটি টাকা জমা দিয়েছে, যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ।

সরকারি কোষাগারে এবছরের মোট অবদান ৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা।