জাতীয় সংসদের রোববারের অধিবেশনে অনির্ধারিত এক আলোচনায় তিনি বলেন, “ইদানিং লক্ষ্য করলে দেখা যাবে আমরা যারা গ্রামীণফোন ব্যবহার করি, প্রত্যেকটি কলে কলড্রপ হয়। একেকটি কলে ৩, ৪, ৫ বার ড্রপ হয়। এজন্য বার বার কল করতে হয়।
“বিদেশে একটা কল করছি, হঠাৎ কলটা ড্রপ করল। আমাদের রোমিং টেলিফোন আছে, দেশের বাইরে যাই; সেখানে একটা কল ড্রপ করলে আবার কল করতে হয়।”
এই কল ড্রপের পেছনে ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত রয়েছে বলে মনে করেন তোফায়েল।
“রবি আছে, অন্যান্য ফোন আছে, গ্রামীণফোনের মতো এরকম অন্যায় করে ব্যবসা করে লাভ করা … এটা কিন্তু সঠিক হয় না। এটা বাস্তবসম্মত না।”
বিষয়টি গ্রামীণফোনকে জানিয়ে সমস্যা সমাধান না হওয়ায় টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
“এই ব্যাপারটায় একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এটা হতে পারে না।”
বাংলাদেশের ১৫ কোটি মোবাইল ফোন গ্রাহকের প্রায় অর্ধেক গ্রামীণফোনের।
তোফায়েল বলেন, “আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এই গ্রামীণ মোবাইল ফোনের অনুমতি দিয়েছিলেন। ড. ইউনূসকে এই গ্রামীণ টেলিফোন দেওয়া হয়েছিল। এর লাভের একটি অংশ গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে জড়িত সাধারণ মানুষের পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তারা পাচ্ছে কি না, জানি না।”