বুধবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এই নির্দেশনায় জানানো হয়, ভাঙন কবলিত এলাকার ঋণগ্রহীতা বিশেষত; কৃষি এবং এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
ঋণগ্রহীতাদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরিয়ে আনাসহ পুনর্বাসনে আর্থিক নীতি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে
>>নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও উদ্যোক্তারা যাতে ঋণ খেলাপিতে পরিণত না হন সে লক্ষ্যে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে, ক্ষেত্র বিশেষে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিলপূর্বক, কৃষি এবং এসএমই খাতের পুনঃতফসিল করা যাবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ড প্রদান করা হবে।
>> আবাদযোগ্য স্থানসমূহে কৃষি কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে কৃষকদের প্রকৃত চাহিদার নিরিখে বিশেষ কৃষি ঋণ হিসেবে চার শতাংশ রেয়াতি হার সুদে আমদানি বিকল্প ফসলসমূহে (ডাল, তৈলবীজ, মসলা ও ভুট্টা) কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার ৬ দশমিক ১৯ দশমিক ১ অনুচ্ছেদ মোতাবেক ঋণ প্রদানে প্রাধান্য দিতে হবে।
>> চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নদী ভাঙ্গনে সম্পূর্ণ বিলীন হওয়া নিঃস্ব কৃষকদের ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফের লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পর্ষদ কর্তৃক সুদ মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
>> নতুন করে কোন সার্টিফিকেট মামলা দায়ের না করে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অনাদায়ী ঋণসমূহ যাতে তামাদি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
আগামী ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই বিশেষ সহায়তা বহাল রাখতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।