ভোক্তার অভিযোগে বিমানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

কর অব্যাহতি সুবিধা থেকে এক গ্রাহককে বঞ্চিত করায় বাংলাদেশে বিমানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

ফয়সাল আতিক নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2018, 02:27 PM
Updated : 3 Oct 2018, 02:27 PM

আমিনুর রহমান ফাহিম নামে এক ওমরাযাত্রীর অভিযোগে বুধবার অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ে শুনানি শেষে এই জরিমানার আদেশ হয়। 

গত ৭ জানুয়ারি ফাহিম পরিবারের ৪ সদস্য নিয়ে ওমরা করতে বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। ওমরা যাত্রী হিসাবে তারা কর রেয়াত সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও তাকে সেই সুবিধা দেয়নি বিমানের বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা।

ভোক্তাকে এমন কর রেয়াত সুবিধা থেকে বঞ্চিত করায় বাংলাদেশ বিমানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান আধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ।

যাত্রী ফাহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সৌদি আরব যাওয়ার জন্য অনলাইনে বিমানের টিকেট কিনেছিলাম। বিমানে উঠার এক ঘণ্টা আগে কর্তৃপক্ষ জানায়, এই টিকেটে ওমরাযাত্রী হিসাবে ভ্রমণ করা যাবে না। ওমরার টিকেটের ভাড়া আরও বেশি।

“চারজনে ১১ হাজার ৪৩১ টাকা করে মোট ৪৫ হাজার ৭২৪ টাকা বেশি দিতে হয়েছিল তাৎক্ষণিক। কিন্তু অনলাইনে টিকেট কাটার সময় এই বিষয়টি উল্লেখ ছিল না।”

ওমরা থেকে ফিরে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেট ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ করেন ফাহিম। অধিদপ্তরে মোট ৭ দফা শুনানি হয়।

“এসব শুনানিতে গিয়ে জানতে পারি, ওমরা যাত্রী হিসাবে টিকেট কাটার ক্ষেত্রে আমার কর অব্যাহতি পাওয়ার কথা। কিন্তু তারা আমাকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করে,” বলেন ফাহিম।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ফয়েজ জানান, ওমরা যাত্রীদের জন্য বিমানের ভাড়া ভিন্ন। বিষয়টি গ্রাহককে আগেই জানানোর প্রয়োজন থাকলেও তারা জানায়নি। তাই এই বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে নূরে আলম নামের এক কর্মকর্তা শুনানিতে এসেছিলেন। তাকে জরিমানা পরিশোধে ৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করের টাকাও ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ২৫ লাখ যাত্রী হ্যান্ডল করি। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে অনেক সময় গ্রাহকের কিছু অভিযোগ আসে। আমরা এসব অভিযোগকে আমলে নেই এবং সেই অনুযায়ী সংশোধন মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করি।”