ইউনিকের মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে জিই পাওয়ার

ঢাকার অদূরে মেঘনাঘাটে ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেলের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ পেয়েছে জিই পাওয়ার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2018, 06:49 AM
Updated : 2 Oct 2018, 06:58 AM

বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের (ইউএমপিএল) মূল প্রতিষ্ঠান ইউনিক ইউনিক গ্রুপ এই কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিখ্যাত এই কোম্পানিকে মনোনীত করেছে বলে জিইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

প্রায় ৩৫ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিতব্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে থাকছে একটি গ্যাস টারবাইন (৯এইচএ.০১), একটি হিট রিকভারি স্টিম জেনারেটর (এইচআরএসজি), একটি স্টিম টারবাইন জেনারেটর, কনডেন্সার ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য যন্ত্রপাতি। নির্মাণ শেষে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ইউনিক গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর ও ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস টারবাইন হওয়ায় জিইর ৯এইচএ.০১ টারবাইনের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। ৫০ ও ৬০ হার্টজ জ্বালারি সেগমেন্টে বিশ্বের সর্বোচ্চ কর্মক্ষম বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে এসব গ্যাস টারবাইন ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলোর কম্বাইন্ড সাইকেল নিট এফিশিয়েন্সি ৬২ দশমিক ২২ শতাংশ ও কম্বাইন্ড সাইকেল গ্রস এফিশিয়েন্সি ৬৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে গেলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রায় সাত লাখ বাড়িতে সরবরাহ করা যাবে।

ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলী বলেন, “বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ইউনিক গ্রুপ নিজেদের একটা অবস্থান তৈরি করতে চাইছে। মেঘনাঘাট বিদ্যুৎ প্রকল্পটি আমাদের এ প্রয়াসেরই প্রমাণ। জিই আমাদের কাজে অংশীদার হওয়ায় আমরা আনন্দিত। বিশ্বজুড়ে বড় বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা রয়েছে।”

জিই পাওয়ারের দক্ষিণ এশিয়ার সিইও দীপেশ নন্দা বলেন, “জিই অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় কৌশলগত পরিবর্তন আনছে; বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, জিইর এইচএ গ্যাস টারবাইনগুলো বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।”