অতি জরুরি কোনো বিষয় যদি একান্তই বিবেচনা করতে হয়, সেক্ষেত্রে যথাযথ যুক্তি কার্যবিবরণীতে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোববার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ‘ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক এজেন্ডাবহির্ভূত বিষয় বিবেচনা না করা’ শীর্ষক সার্কুলারে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এজেন্ডাবহির্ভূত বিষয় উপস্থাপিত হলে পর্ষদের সদস্যরা সে বিষয়ে আগে থেকে অবগত হওয়ার সুযোগ পান না। এতে পরিচালকরা উপস্থাপিত বিষয়ের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে মতামত দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।
এছাড়া পর্ষদে কোনো প্রস্তাব উপস্থাপনের আগে ব্যাংক কর্তৃক প্রস্তাবটির বিভিন্ন দিক বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়। এক্ষেত্রে সে সুযোগও থাকে না।
এজেন্ডাবহির্ভূত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে ব্যাংক ও আমানতকারীদের স্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে এজেন্ডাবহির্ভূত কোনো বিষয় পর্ষদ কর্তৃক বিবেচনা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।