দেশের ব্যাংকগুলোর তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও দুর্বলতা খুঁজে বের করতে পরিচালিত গবেষণাটির তথ্য রোববার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম মিলনায়তনে এক সেমিনারে তুলে ধরা হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, শুধু গতবছরই দেশের ৬৮ শতাংশ ব্যাংক সাইবার হামলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘন সংক্রান্ত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। এসব হামলার অধিকাংশই ছিল ম্যালওয়্যার (৬৮ শতাংশ),স্প্যাম (৪৬ শতাংশ) ও ফিশিং অ্যাটাক (৪৮ শতাংশ)।
গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশের ৬২ শতাংশ ব্যাংক বড় আকারের সাইবার হামলা সামলাতে পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। ৩৫ শতাংশ ব্যাংকই মনে করে তারা রেনসামওয়্যার অ্যাটাক সামলাতে পারবে না।
দেশের ৪৫টি ব্যাংক, ৭৫০ জন গ্রাহক, ৩০ জন ঊর্ধ্বতন ও ৪৫০ জন ব্যাংক কর্মকর্তার ওপর এই গবেষণা চালানো হয়।
গবেষণায় ব্যাংকের নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও তথ্য চুরির পেছনে ‘কর্মকর্তাদের ভুলকে’ অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, নিরাপত্তা লঙ্ঘনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও অনলাইন ফাইল শেয়ারিং বড় ভূমিকা রাখে।
সাইবার হামলা, তথ্য ও অর্থ চুরি ঠেকাতে ব্যাংকগুলো তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিশেষজ্ঞদের দল বড় করার পরামর্শ দিয়েছে বিআইবিএম। সেই সাথে আইটি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও কাজের চাপ কমিয়ে দেওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছে তারা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত আইসিটি নিরাপত্তা গাইডলাইন অধিকাংশ ব্যাংকই পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেনি। ব্যাংকগুলোকে গাইডলাইন শতভাগ বাস্তবায়নের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান আলম গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য তুলে ধরেন।
সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজি হাসান, বিআইবিএমের মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরীসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।