বৃহস্পতিবার বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভুটান দূতাবাস ও দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জরুরি ওষুধের ৩৫ মেট্রিক টন চালানটি গ্রহণ করা হয়।
গত বছর এপ্রিলে ভুটান সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রত্যাশায় ভুটানের হেলথ ট্রাস্ট ফান্ডে এক বছরের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
২০ কোটি টাকার ২৫৮ ধরনের ওষুধ সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাসে ভুটানে পাঠানোর কথা। এর মধ্যে ৩৫ মেট্রিক টনের চালানটি প্রথম।
সড়ক পথে বাংলাদেশ বুড়িমারী পর্যন্ত ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার পর সেখান থেকে ভুটান ওষধুগুলো নিয়ে যাবে বলে ঢাকাস্থ ভুটান দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
অক্টোবর ও নভেম্বরে একইভাবে ওষুধের পরের চালানগুলো পাঠানো হবে।
এর আগে ২৩ জুলাই সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত সোনাম তবদেন রাবগের কাছে টোকেন ওষুধ তুলে দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
গুণগতমানের জন্য বাংলাদেশি ওষুধ আমদানিতে বরাবরই আগ্রহ দেখিয়ে আসছে ভুটান সরকার।
২০১৬ সালের হিসেব অনুযায়ী, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ বিশ্বের ৯০টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।
এখাত থেকে তৈরি পোশাকের চেয়েও বেশি মুনাফা করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।