বুধবার বিকালে রাজধানীর জিপি হাউজে এক অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
গত জুনে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় শিশু-কিশোরদের নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ে সচেতন করতে দেশব্যাপী সেইফ ইন্টারনেট আউটরিচ প্রোগ্রামের আওতায় এই কর্মসূচিতে গ্রামীণফোনের সহযোগী হিসেবে রয়েছে টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফ।
“জাদুর প্ল্যাটফর্ম ইন্টারনেটে হয়ত ঘাপটি মেরে আছে মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, যারা ইন্টারনেটের প্ল্যাটফর্ম থেকে তরুণদের রিক্রুট করছে। তাই বলছি, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার পাশাপাশি এর নিরাপদ দিকটিও আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি জানান, আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টারের অধীনে দেশের এক লাখ ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চার কোটি ছাত্রছাত্রীকে আইসিটি প্রশিক্ষণ দেওয়া সরকারের লক্ষ্য।
আইসিটি শিক্ষার মতো ‘নিরাপদ ইন্টারনেট’ নামে আরেকটি বিষয় নিম্ন মাধ্যমিক স্তর থেকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান।
এছাড়াও চাইল্ড হেল্পলাইন হটলাইন (১০৯৮) এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ‘চাইল্ড অনলাইন সেইফটি ইস্যুজ’; যেখানে কল করে কিশোর-কিশোরীরা ইন্টারনেটে হেনস্তা হলে তার প্রতিকার ও পরামর্শ পাবে।
গ্রামীণফোন ২০১৪ সাল থেকে ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে শিশুদের সচেতন করে আসছে। এ পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে নিরাপদ ইন্টারনেটের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার দাবি করেছে গ্রামীণফোন।
অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি অ্যাডওয়ার্ড বেইগবেডার, গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান, সিসিএও মাহমুদ হোসেন, টেলিনর গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড চাইল্ড অনলাইন সেফটি স্পেশালিস্ট ওলা য়ো তান্দ্রে উপস্থিত ছিলেন , বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।