তবে অপারেটর বদলে গ্রাহকদের ৩০ টাকার বদলে গুণতে হবে ৫০ টাকা।
এমএনপি সেবার লাইসেন্স পাওয়া ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাবরুর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী ১ অক্টোবর থেকে এমএনপি সেবা দিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১ অক্টোবর রাত থেকেই এ সিস্টেমটি শুরু হবে।”
ওইদিন বিটিআরসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণার মাধ্যমে এ সেবা শুরু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “সব অপারেটরদের সাথেই এমএনপি দিতে নেটওয়ার্ক পরিপূর্ণ প্রস্তুত।”
গত নভেম্বরে এমএনপি সেবার লাইসেন্স পায় বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, যেহেতু গ্রাহকের অপারেটর বদল হচ্ছে এবং তার তথ্য নতুন একটি অপারেটরে যাচ্ছে, তাই গ্রাহককে এমএনপির সিম উত্তোলন করতে হবে। যে অপারেটরে যেতে চান সেই গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে গিয়ে ফি দিয়ে সিম নিয়ে আসতে হবে। সিম পেতে একজন গ্রাহকের সর্বোচ্চ ৫ মিনিট সময় লাগবে এবং এরপর সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেটি সক্রিয় হবে।
এমএনপি সেবা অগাস্ট থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্দেশনা ও নেটওয়ার্ক জটিলতার কারণে দুই মাস পিছিয়ে যায়।
নম্বর পরিবর্তনের ঝক্কিতে যেতে চান না বলে সেবায় সন্তুষ্ট না হওয়ার পরও অনেকে এতদিন অপারেটর বদলাতে পারেননি। এমএনপি চালু হলে তারা নম্বর ঠিক রেখেই অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
এতে অপারেটররাও তাদের সেবার মান উন্নত করতে চেষ্টা চালাবে বলে সরকার আশা করছে।