মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আন্তঃলেনদেন চালুর আহ্বান মন্ত্রীর

আর্থিক লেনদেনকে সহজ করতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতাদের মধ্যে দ্রুত ‘আন্তঃলেনদেন’ সুবিধা চালুর পরামর্শ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2018, 03:49 PM
Updated : 24 Sept 2018, 03:49 PM

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন ও মাইক্রোসেভের যৌথ উদ্যোগে ‘আই থ্রি কর্মসূচি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “দেশে মোবাইলে আর্থিক সেবা আজকে বিশ্বে সেরা, যা সাধারণ মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনেছে, কিন্তু তাদের মধ্যে আন্তসংযোগের অভাব রয়েছে।”

উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে আইপেতে টাকা পাঠানো যায় না। অন্যদিকে আইপে থেকেও বিকাশ ও শিওর ক্যাশে টাকা লেনদেন করা যায় না।

“মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তঃলেনদেন সুবিধা দ্রুত চালু করা উচিত। তাহলে এক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক অন্য প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন করতে পারবেন। যেমনটা আমরা এখন ব্যাংকগুলোর মধ্যে করতে পারি।”

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পৃথিবীতে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর আট শতাংশ বাংলাদেশি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবায় যুক্ত আছে বাংলাদেশের পাঁচ কোটি মানুষ। ৬০ শতাংশ মানুষ ব্যাংকিং সুবিধার আওতার বাইরে; যার মধ্যে ৬৫ শতাংশই নারী। 

সারাদেশকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনা হবে জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “দেশের তৃণমূল পর্যায়ে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। ২০১৯ সালের জুনে এমন কোনো ইউনিয়ন পাওয়া যাবে না যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে না।”

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ হাম্মাদুল করিম।

সম্ভাব্য সুযোগ শনাক্ত, প্রযুক্তি ব্যবহার, বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভূক্তির কর্মসূচিতে অবদান রাখার বিষয়ও আলোচনা উঠে আসে।

মাইক্রোসেভের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আইথ্রি কর্মসূচির অধীনে বিদ্যমান উদ্যোগগুলো নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকার, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, মোবাইল ফোনভিত্তিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান, ফিনটেক (ফিনান্সিয়াল টেকনোলজি) উদ্যোক্তাসহ এই খাতের শতাধিক কর্মকর্তা।