পেঁয়াজের ‘ঝাঁঝ’ কমেনি

পাইকারি বাজারে কোরবানির আগে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে এলেও খুচরা বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2018, 03:08 PM
Updated : 7 Sept 2018, 03:08 PM

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজ ছাড়া স্থিতিশীল রয়েছে মাছ-মাংস ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্যমতেও ঢাকার বাজারগুলোতে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম চলতি সপ্তাহে স্থিতিশীল রয়েছে।

বড়বাগের মুদি দোকান আল মদিনা স্টোরের বিক্রেতা শাহাব উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারতীয় বড় আকারের পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও দেশীয় পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

“ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজিতে পাঁচ টাকা কমে এখন ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির ঈদের সময় থেকেই পেঁয়াজের দাম প্রতিকেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।”

কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, “ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম প্রতি পাল্লা ২৫০ টাকায় উঠেছিল। এখন গত তিনদিন ধরে দাম কমতে শুরু করেছে। ফরিদপুরের সবচেয়ে ভালো মানের পেঁয়াজের পাল্লা এখন ২১০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম পড়ে ৪২ টাকা।”

কোরবানির পর ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমে ১২০ টাকায় নামলেও এখন তা আবার বাড়তে শুরু করেছে।

এদিন ঢাকার কারওয়ান বাজার ও মিরপুরের বড়বাগ বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন বিক্রেতা।

এই বাজারে পটল, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়শ, করলাসহ অধিকাংশ সবজিই প্রতিকেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। তবে কারওয়ান বাজারে এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকার মধ্যে।

বড়বাগে সোহেল আহমেদ নামের স্থানীয় এক ক্রেতা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই কাঁচা বাজারে পণ্যসামগ্রীর দাম স্থিতিশীল। এখানে উল্লেখ করার মতো কোনো হ্রাসবৃদ্ধি নেই।”

কারওয়ান বাজারে জনতা রাইস এজেন্সির মালিক আবু ওসমান বলেন, “প্রায় একমাস ধরেই চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এখন নতুন করে দাম বাড়তে পারে বলে মিলাররা আভাস দিলেও তা কার্যকর হয়নি।”

এই দোকানে মিনিকেট চাল মানভেদে প্রতিকেজি ৪৮ টাকা, ৫০ টাকা এবং ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিআর আটাশ প্রতিকেজি ৩৯, ৪০ এবং ৪২ টাকায়, পায়জাম ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও খবর