বেনাপোল শুল্কভবনের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে।
রোববার থেকে বন্দরের সকল কাজকর্ম শুরু হবে; ওইদিন সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও পুরোদমে চলবে বলে জানান হাবিবুর।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঈদের ছুটি। এর সঙ্গে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হয়েছে।
রোববার থেকে বন্দরের কাজকর্ম শুরু হলেও কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসতে আরও দুই এক দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
এদিকে টানা ছুটির কারণে সীমান্তের দুই পাশের বন্দরে ট্রাকজট বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আইন বিষয়ক সম্পাদক মশিয়ার রহমান বলেন,“ঈদের পর চারদিন মহাসড়কে ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ছুটি শেষে ওই সপ্তায় পণ্য খালাস তেমন একটা হবে না।
“এছাড়া অনেক আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে যান। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়ী বন্দর থেকে পণ্য খালাস নেবেন না।”
বেনাপোলের মতো ভারতের পেট্রাপোল বন্দরেও ট্রাকজট রয়েছে জানিয়ে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, “পেট্রাপোল পার্কিং,বনগাঁও টার্মিনালসহ যশোর রোডের দুই পাশে কয়েকশ পণ্য বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে ।”
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে ২৫০-৩০০ ট্রাক আসে বেনাপোল বন্দরে; আর বেনাপোল থেকে ১৫০-২০০ ট্রাক পণ্য যায়।
“পাশাপাশি দেশের ৭৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচা মালামাল ও বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে।
ফলে বন্ধ শেষে তীব্র ট্রাকজট সৃষ্টি হবে।”
ছুটিতে আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে জানিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশন ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, “এ সময় ভিড় কিছুটা বেড়ে যায়; তাই ইমিগ্রেশনের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই থাকতে বলা হয়েছে।”