জমজমাট গো-খাদ্যের বাজার

ক্রেতারা কোরবানির পশু কিনতে শুরু করায় ঢাকায় গো-খাদ্যের বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। বিক্রি বেড়েছে গরু জবাইয়ের উপকরণগুলোরও।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2018, 06:25 PM
Updated : 20 August 2018, 06:25 PM

ঈদের দুদিন আগে সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা কোরবানির পশুর জন্য খড়, ঘাস, ভূষি কেনার জন্য ভিড় করছেন। অনেকে আবার কিনে নিচ্ছেন পশু জবাইয়ের কাঠের গুঁড়ি, পাটি, দড়ি,  ছুরি-চাপাতি।

কারওয়ান বাজার এলাকার কাঁচাবাজার এলাকায় দেখা যায়, সবজি ও ফলের অস্থায়ী দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে কোরবানি পশুর বিভিন্ন ধরনের খাবার, মাংস রাখার পাটি, মাংস কাটার কাঠের গুঁড়ি।

ফল ব্যবসায়ী, সবজি বিক্রেতা, ভ্যানচালকসহ নানা পেশার মানুষ বাড়তি লাভের আশায় সপ্তাহখানেকের জন্য বিক্রি করছেন কোরবানির নানা ধরনের সামগ্রী।

কারওয়ান বাজার মুরগি পট্টি সংলগ্ন এলাকার গো-খাদ্য বিক্রেতা মোশাররফ জানান, তিনি প্রতি কেজি ভূষি ৪০ টাকা, প্রতি আটি খড় ২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

মোশাররফ জানান, তিনি রামপুরা থেকে আনেন এসব গো-খাদ্য। পাইকারি হিসেবে কেউ কিনতে চাইলে তা আরও কম দামে বিক্রি করতে রাজি তিনি।

কোরবানির পর মাংস রাখার হোগলা বা পাটি (বড়গুলো) কারওয়ান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। ভোলা থেকে আসা এসব পাটি পাইকারি নিলে দাম পড়বে ৯৫ টাকা।

প্রতি বছরই কোরবানির বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করেন জামাল হোসেন। তিনি জানান, তিন দিন ধরে তার বিক্রি বেড়েছে।

“যাদের গরু কেনা হয়ে গেছে তারা খড়, ভূষি, ঘাস কিনছে। অনেকে আবার হোগলা, পাটি, কুন্দা কিনছে।”

ঈদের আগের রাতে বিক্রি কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা এই বিক্রেতার।

তেঁতুল কাঠের গুঁড়ি ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করছেন ফল ব্যবসায়ী সুমন।

সুমন বলেন, “প্রতি ঈদেই এসব বিক্রি করি। অল্প সময়ের ব্যবসা। ভালোই লাভ হয়।”

কারওয়ান বাজার থেকে কোরবানির গরুর জন্য খড়, ভূষি কিনতে আসা সোহরাব হোসেন বলেন, “গরুর তো খাবার লাগবেই।  এখান থেকে একটু কম দামে বেশি করে নিয়ে যাচ্ছি, যেন বার বার কেনা না লাগে।”

বাজারগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশেও বিক্রি হচ্ছে খড়, ঘাস, ভূষি, হোগলা ও গাছের গুঁড়ি।

নাখালপাড়া রেলগেইট বাজারের গো-খাদ্য বিক্রেতা জাহাঙ্গীর জানান, তিনি প্রতি কেজি কুড়া ২৫ টাকা, গমের ভূষি ৪০ টাকা, ছোলার ভূষি ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন।

“এই সময়ে তো সবারই খড়, ভূষি- এইসব লাগে। কোরবানি গরু তো মোটামুটি সবাই কিনে। এইসব ভালোই বিক্রি হয়। চাহিদা অনেক বেশি থাকে।”

মিরপুরের ৬ নম্বর বাজারেও বিক্রি হচ্ছে কোরবানির নানা ধরনের সামগ্রী।

সবজি বিক্রেতা মো. রিপন খান ক্রেতাদের চাহিদাকে মাথায় রেখে বিক্রি করছেন খড়, ভূষি, ঘাস, কাঁঠালপাতা ইত্যাদি।

তিনি বলেন, “ঈদের আগে সবজির চেয়ে এইসব জিনিস বেশি বিক্রি হয়। প্রতিবারই এই ব্যবসা করি। অল্প সময়ে ভালই লাভ হয়।”