বোনাস দিয়েছে ৮৫ ভাগ কারখানা: বিজিএমইএ

সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোরবানির ছুটির আগে শতভাগ পোশাক কারখানা বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে বলে দাবি করেছে মালিক পক্ষ; তবে শ্রমিক নেতাদের মধ্য থেকে বিপরীত বক্তব্য এসেছে।

ফয়সাল আতিক নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2018, 06:40 PM
Updated : 16 August 2018, 06:40 PM

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠকে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প খাতের শ্রমিকদের কোরবানির ঈদের বোনাস ১৬ অগাস্টের মধ্যে পরিশোধ করতে নির্দেশনা দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। ১০ অগাস্টের মধ্যে জুলাই মাসের বেতন দেওয়ারও নির্দেশনা দিয়েছিলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।

বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেতনের পাশাপাশি ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ কারখানায় বোনাসও দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমএর সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি।

তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মোটমুটিভাবে শতভাগ কারখানায় বেতন দেওয়া হয়ে গেছে নির্ধারিত সময়ে। ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ কারখানায় বোনাসও দেওয়া হয়েছে। বাকিটা শনিবারের মধ্যে দেওয়া হবে বলে আমরা জানতে পেরেছি।”

এবার ঈদের আগে বকেয়া বেতন-বোনাস নিয়ে শ্রমিকদের কোনো পক্ষ অভিযোগ নিয়ে বিজিএমইএতে আসেনি বলেও জানান কচি।

ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা, গাজীপুর ও সাভারে কয়েকটা কারখানায় ‘ঝামেলা’ হলেও পরে তা মিটে গেছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকদের অন্যতম সংগঠন গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঝামেলাগুলো কারখানা মালিকরা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে মিটিয়েছে। সর্বশেষ শ্রমিকরা বেতন নিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন।”

তবে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড ও আশুলিয়ার জামগড়ায় কয়েকটি কারখানায় অসন্তোষ হলেও তা মিটছে বলে জানান বাবু।

“শ্রমিকদের তিন মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে আশুলিয়ার জামগড়ায় বাঁধন করপোরেশন নামের একটি কারখানায় ঝামেলা হচ্ছিল। গত দুই দিনের প্রচেষ্টায় সেই ঝামেলা কিছুটা মীমাংসা হয়েছে। ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে অনন্ত গ্রুপের একটি কারখানায় শ্রমিকরা বেতন বোনাস পেলেও কিছু কর্মচারী বেতন বঞ্চিত ছিলেন। মালিক পক্ষ, বিজিএমইএ প্রতিনিধি ও কর্মচারীদের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বুধবার রাতে সেই সমস্যারও সমাধান হয়েছে।”

তবে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি জলি তালুকদার দাবি করেন, আশুলিয়ার অধিকাংশ কারখানাতেই জুলাই মাসের বেতন দেওয়া হয়নি, বোনাস তো দূরের কথা।

“কিছু বড় ফ্যাক্টরি বেতন-বোনাস দিয়েছে। আশুলিয়ায় অর্ধেকের মতো কারখানায় জুলাই মাসের বেতনই দেওয়া হয়নি।”

বেতন দেয়নি এমন কারখানার নাম জানতে চাইলে রামপুরায় ড্রাগন ও কনফিডেন্স নামের দুটি কারখানার কথা বলেন তিনি।