হুয়াওয়ের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচারে’ সেরা ১০ নির্বাচিত

দেশে করপোরেট সোশাল রেসপনসিবিলিটির (সিএসআর) আওতায়  শুরু হওয়া গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেরা ১০ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্ত করেছে হুয়াওয়ে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2018, 03:57 PM
Updated : 16 August 2018, 03:57 PM

তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদাতা চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই জন করে মোট ১০ জন শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়েছে।

নির্বাচিত সেরা ১০ শিক্ষার্থী আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে দুই সপ্তাহের জন্য চীনে যাবে দেশটির সংস্কৃতি ও প্রযুক্তি নিয়ে জানতে।

গত জুলাইয়ে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে চূড়ান্ত হওয়া ১০ জন শিক্ষার্থীরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারাহ সিনথিয়া গোমেজ ও রাকিব রহমান শাওন, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে আসিফ নেওয়াজ ও বখতিয়ার হাসান, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে নুজহাত নাওয়ার ও রাকিবুল হাসান, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে আফসানা আফরিন ও আজমাইন ইয়াকিন সৃজন এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে দিবা দাস ও মনিরুল ইসলাম মিশকাত।

বাংলাদেশ থেকে বাছাই করা ১০ জনই চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

এ বছর ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (আইইউটি), খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে সেরা শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হয়।

২০০৮ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ৯৬টি দেশে সিডস ফর দ্য ফিউচারের আয়োজন করা হয়েছে; যেখানে অংশগ্রহণ করেছে বিশ্বব্যাপী ২৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩০ হাজার শিক্ষার্থী।

এর মধ্য থেকে দুই হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হুয়াওয়ের হেডকোয়ার্টারে।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার জেরি ওয়াং বলেন,  “বাংলাদেশ থেকে যে ১০ জন শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়েছে তাদের মেধা দেখে আমি খুবই উল্লসিত। এ জন্য তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “মূলত আইসিটি বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির হাতে কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে এবং চীনের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিতেই এই মেধাবী শিক্ষার্থীদের চীনে নিয়ে যাওয়া হবে, যা তাদেরকে বিশ্বের প্রতিযোগিতামূলক চাকরিক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে। আমি বিশ্বাস করি, এসব মেধাবী শিক্ষার্থীরা সামনে এগিয়ে যাবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।”

আরও খবর