এছাড়াও হাটে জালনোট রোধে ব্যাংকগুলোকে বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, প্রত্যেক পশুর হাটে (উপজেলা পর্যন্ত) জালনোট ধরতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা পশু ব্যবসায়ীদের নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা দেবেন।
জালনোট শনাক্তকারী মেশিনের সহায়তায় অভিজ্ঞ ক্যাশ কর্মকর্তা দিয়ে কোরবানির হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে পশু ব্যবসায়ীদের বিনা খরচে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা দিতে হবে।
গবাদিপশুর হাটে জালনোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপনের জন্য সিটি করপোরেশন, জেলা মিউনিসিপ্যালিটি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব ও আনসারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।
১৬ অগাস্টের মধ্যে হাটের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম, পদবি ও মোবাইল ফোন নম্বরসহ প্রত্যেক ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী একজন উপযুক্ত কর্মকর্তার নাম, পদবি ও মোবাইল ফোন নম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা দিতে হবে।
ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা হাটে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের কার্যক্রম মনিটর (পরিবীক্ষণ) করবেন। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে যেসব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস রয়েছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে স্থানীয় বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে একই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয় বা প্রধান শাখাগুলোকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুথে যাচাইয়ে কোনো জালনোট ধরা পড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সার্কুলারে।
এছাড়া অন্যান্য জেলার পৌরসভা ও থানার অনুমোদিত পশুর হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের এ সংক্রান্ত দায়িত্ব বণ্টনের জন্য সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চেস্ট (কোষাগার) শাখাগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের বণ্টন করা দায়িত্ব অনুযায়ী ব্যাংকের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শাখাগুলো যেন পশুর হাটগুলোতে নোট যাচাই সেবা দেয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে হবে।