সোমবার এ নিয়ে গ্রামীণফোনের ফেইসবুক পেইজে বিবৃতি দিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি।
সেখানে মাইকেল ফোলি বলেন, “২২ বছর আগে আমরা বড় স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছিলাম, কিন্তু সেই স্বপ্ন সম্ভবত এত বড় ছিল না।
“গত দুই দশকে গ্রামীণফোন আমাদের সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আমরা এমন কোটি কোটি মানুষের কাছে টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ে গেছি, যারা হয়তো আমরা না থাকলে এই সেবা ব্যবহার করতে পারতেন না। আর এর ফলে তারা শিক্ষা, তথ্য, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তাসহ আরো অনেক কিছুর সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন।”
ফোলি বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের নেটওয়ার্ককে আমি সবসময় একটি টেকসই উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে দেখি। আমরা লাভজনক, তাই টেকসই, আর আমরা আমাদের আয়ের একটা বড় অংশ দেশগুলোকে ফিরিয়ে দেই।
তিনি বলেন, “প্রতিদিন সারাদেশে ৩ লাখ ৭০ হাজার খুচরা বিক্রেতা আমাদের গ্রাহকদের সহায়তা করছেন, ৬ হাজারের এর বেশি বিক্রয় প্রতিনিধি প্রতিদিন আমাদের প্রায় সবগুলো খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র পরির্দশন করছেন। আর প্রায় ২ হাজার ৪০০ স্থায়ী কর্মী, উচ্চ কর আর তুলনামূলকভাবে নিম্ন গ্রাহক প্রতি আয়ের মতো কঠিন পরিস্থিতিতে টেকসইভাবে একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিচালনার মতো বিষ্ময়কর ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন প্রতিদিন।”
গ্রামীণফোনের মতো একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা শুধুসাত্র দৃঢ় কর্পোরেট সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের স্বীকৃতি নয় এটি সর্বতোভাবে একটি অসাধারণ টিম ওয়ার্কের ফল বলেও জানান ফোলি।
সকল স্টেকহোল্ডারদের (রেগুলেটর, শেয়ারহোল্ডার, বোর্ড মেম্বার, সাপ্লাইয়ার, পার্টনার এবং কর্মীবৃন্দ) ধন্যবাদ জানিয়ে ফোলি বলেন, “গত ২২ বছরে আপনারা বাংলাদেশে একটি অবিস্মরনীয় স্থান করে নিয়েছেন।
“যারা আমাদের ব্যবসা এবং একটি উন্নততর জাতি গড়ার উদ্যোগকে অব্যাহতভাবে সমর্থন করে আসছেন। আমাদের সকল সিদ্ধান্তের কেন্দ্রে আছেন আপনারা। আপনাদের আস্থা আমাদের বিনীত করেছে।”