শুক্রবার রাজধানীর বড়বাগ বাজার, হাতিরপুল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পণ্যগুলোর দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারে গত সপ্তাহে ৫ কেজি পেঁয়াজ ২১০ টাকায় বিক্রি হলেও দাম বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়।
আবার কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হলেও হাতিরপুল বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা আলাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন বৃষ্টির কারণে ফরিদপুর, কুষ্টিয়া কিংবা পাবনা এলাকায় হাটগুলোতে পেঁয়াজ উঠছে কম। ফলে দাম একটু বেড়েছে।”
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম গড়ে ১৮ শতাংশ বেড়েছে।
“এক সপ্তাহে ব্রয়লারে কেজিতে ৫ টাকা আর কক মুরগির কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে।”
কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; ঢাকার অন্যান্য বাজারগুলোতে মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারে পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি এখন ২৪০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা।
সেলিম মিয়া বলেন, “মাঝে (রোজার সময়) কক মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি ২৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তবে ঈদের পর দাম কমে গিয়ে নেমেছিল ২২০ টাকায়।
“গত তিন সপ্তাহ ধরে দাম বাড়তে বাড়তে এখন ২৪০ টাকায় উঠেছে।”
হাতিরপুলে ফার্মের মুরগির ডিমের হালি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা; কারওয়ান বাজারে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়।
গত এক সপ্তাহে ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা করে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কারওয়ান বাজারের এক দোকানি।
বাড়তি দামের বাজারে স্বস্তির খবর হিসেবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে বর্ষাকালীন সবজি ও অন্যান্য তরকারির দাম তুলনামূলক স্থিতিশীলই রয়েছে।
কারওয়ান বাজারে কেজি প্রতি ঢেঁড়শ-পটল ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা, ঝিঙা, বেগুন, ধুন্দল ৩০ টাকা এবং করলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
হাতিরপুল বাজারে চায়না গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা ৫০ টাকা এবং ঝিঙা, চিচিঙ্গা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
চালের বাজারে পাইজামের দাম একটু বাড়লেও মিনিকেট ও বিআর আটাশের দাম কমেছে বলে কয়েকজন বিক্রেতা জানিয়েছেন।
কারওয়ান বাজারে দুই সপ্তাহ আগে বাদশা রাইস এজেন্সির পাইজামের বস্তা (৫০ কেজি) দুই হাজার টাকা ছিল।
তখন পাইজাম চাল কেজি প্রতি ৪২ টাকা করে বিক্রি করা গেছে। এখন পাইজামের বস্তার মূল্য বেড়ে দুই হাজার একশ টাকা হওয়ায় এর খুচরা মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা থেকে ৪৫ টাকা।
চালের মানভেদে দামের পার্থক্য দেখা গেছে বাজার ঘুরে।
ভালো মানের মিনিকেটের বস্তা ২৬৫০ টাকা, বিআর আটাশের বস্তা ২১০০ টাকা, ২২০০ টাকা এবং ২২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিনিকেট ৫৬ টাকা থেকে কমে ৫৩-৫৪ টাকা, বিআর আটাশ ৪৬ টাকা থেকে কমে ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।